শিক্ষার্থীরা ভারতের মহাকাশ যাত্রায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ পাবে। চন্দ্রযান-১ এর সফলতার এবং চন্দ্রযান-২ এর ত্রুটিগুলির বোঝার পরে, চন্দ্রযান-৩-এর লঞ্চ ভারতের একটানা চেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। উপরন্তু, শ্রীহরিকোটায় ISRO ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করার মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অনেকগুলি দিক সম্পর্কে সরাসরি জানতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ISRO-এর বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে বলে সকলের আশা।
আরও পড়ুনঃ তিরুপতি মন্দিরে পৌঁছেছে ইসরোর বিজ্ঞানী দল, দুপুরেই শুরু চন্দ্রযান-৩ এর কাউন্টডাউন
চন্দ্রযান-৩ লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক 3 (LVM 3) রকেটের উপরে নিয়ে যাওয়া হবে। বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়াররা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মহাকাশযানের নকশার কাজ শুরু করেছিলেন, যখন এটি লঞ্চের পর্যায়ে প্রবেশ করেছিল। নতুন ‘স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট আর্থ’ (শেপ) সেন্সর, যা ‘বিক্রম’ নামে পরিচিতি সেই ল্যান্ডারে ইনস্টল করা হয়েছে। ‘বিক্রম’ পৃথিবীর আলোর গতিবিধি এবং প্রতিফলনের তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা হবে।
মহাকাশযানটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাবে। চন্দ্রযান-৩-এর পৃথিবী থেকে চাঁদে যেতে প্রায় ত্রিশ দিন সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে, অবতরণের দিন হিসেবে ২৩-৩৪ অগস্ট নির্ধারিত হয়েছে।