ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যেহেতু কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতেও তারা অনলাইনে ক্লাস করেছেন তাই তাদের পক্ষে এই মুহূর্তে অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। প্রায় ছয় মাসে শেষ করার সিলেবাস দু মাসে শেষ করিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এখন অফলাইনে পরীক্ষা নিলে পরীক্ষার ফলাফল খুবই খারাপ হবে তাদের। যেহেতু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেবে তাই তাদের দাবি সর্বভারতীয় স্তরে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, অফলাইনে পরীক্ষা দিলে তারা পিছিয়ে পড়তে পারেন। এই দাবিকে সামনে রেখে গত ২৭ তারিখ সরগরম হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেইদিন সংঘটিত হওয়া বৈঠক মূলত বিভিন্ন কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে ভাইস-চ্যান্সেলর সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনার জন্যই স্থির করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের খাতায় অশ্লীল শব্দ! সেই পরীক্ষার্থীদের কঠিন শাস্তি পর্ষদের, কী ঘটল?
তবে তার আগেই ঠিক হয়েছিল সেই দিনের বৈঠকে প্রিন্সিপালদের মতামত নথিভুক্ত করার পরে, ৩ জুন সিন্ডিকেটের বৈঠকে ঠিক হবে পরীক্ষার ভবিষ্যৎ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে থেকে শুরু হবে সিন্ডিকেট বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন ভাইস চ্যান্সেলর সহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা। ২৭ তারিখের বৈঠকের ফলাফল সিন্ডিকেটের সামনে উত্থাপিত করা হবে বলে খবর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর সেইদিন বেশিরভাগ প্রিন্সিপালই অফলাইন পরীক্ষার পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। ৫ শতাংশ প্রিন্সিপাল চেয়েছেন অনলাইনে হোক পরীক্ষা। ২ শতাংশ অধ্যক্ষ কোনো পক্ষেই নিজস্ব মতামত জানানো থেকে বিরত থেকেছেন।
আরও পড়ুন: 'অনুব্রত মণ্ডল বলছি', CBI-এর সামনে বসেই করলেন ফোন, প্রত্যুত্তরে অবাক তদন্তকারীরা
তাহলে আজকে সিন্ডিকেট বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত অফলাইন পরীক্ষার দিকেই যেতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে হয় আরো চার মাস পড়িয়ে অফলাইনে হোক, নয়তো অনলাইনে, এই দাবিতে অনড় ছাত্রছাত্রীরা। সিন্ডিকেট বৈঠক এর ফলাফল তাদের পক্ষে না গেলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।
---সাহ্নিক ঘোষ