কমিশনের গ্রুপ ডি নিয়োগের অনিয়ম জেনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাঁচাছোলা মন্তব্য, 'এনাফ ইজ এনাফ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক ৫ অফিসের উপরে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কমিশনই আদালতে জানাচ্ছে সেই তথ্য! কীভাবে এমন কমিশন চলতে পারে! কমিশন অফিসে কিছু ছদ্মবেশি দুবৃত্তের উপস্থিতি থাকতে পারে। যারা এমন মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে নিয়োগ করছে।গ্রুপ- ডি এমন অনিয়মের নিয়োগে কমিশনের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেব।'
advertisement
আরও পড়ুন: দু' মাসেই ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, বিধানসভায় বড় দাবি শিক্ষামন্ত্রীর
কমিশনের অনুসন্ধান কমিটি চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া কিছুই না। বিস্ফোরক মন্তব্য করে থেমে থাকেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগ সুপারিশ কীভাবে করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন? তার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশন সচিবকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার সাড়ে দশটার মধ্যে এসএসসি সচিবকে হাইকোর্টে সশরীরে হাজিরা দিয়ে কৈফিয়ত দিতে হবে অনিয়মের নিয়োগের। বুধবার পঁচিশ জনের নিয়োগের সুপারিশের নথি সহ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশন সচিবকে।
২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৩০০০-এর কাছাকাছি নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে গ্রুপ ডি নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়।তার পরেও একাধিক নিয়োগ পত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২৫টি নিয়োগের সুপারিশ হাইকোর্ট হাতে আসে। কীভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে এমন নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট৷ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালতে সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনজীবী জানান, কমিশনের পাঁচটি আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। সেই অফিস থেকে কিছু গাফিলতি হয়ে থাকলেও হতে পারে। আঞ্চলিক অফিস গুলি সেন্ট্রাল অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রাখে না। অনিয়মের অভিযোগ থাকলে, কমিশন অনুসন্ধান কমিটি গড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আদালতকে জানাতে পারে। তার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া হোক। বিচারপতি কমিশনের সেই আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, 'এনাফ ইজ এনাফ।'