প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু মামলাকারীদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ইন্টারভিউয়ের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে চূড়ান্ত বেনিয়ম হয়েছে। ন্যূনতম কত নম্বর পেলে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হচ্ছে, তার কোনও উল্লেখও নেই সাইটে। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী এই নিয়োগ করা হচ্ছে না। অনেক পরীক্ষার্থীই বেশি নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউতে ডাক পাননি। এরপরই আপাতত শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
advertisement
হাইকোর্টের নির্দেশের পরই অবশ্য বৈঠকে বসছে স্কুল সার্ভস কমিশন (এসএসসি)। হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, তা নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে হাইকোর্টের যারা দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই পূর্ব বর্ধমানের পরীক্ষার্থী অভিজিৎ ঘোষ, মহঃ সারিকুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ গড়াইদের প্রশ্ন, নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশে কেন ভয় পাচ্ছে কমিশন? নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারভিউ তালিকায় থাকবে টেটে প্রাপ্ত নম্বর, অ্যাকাডেমিক স্কোর সহ অন্যান্য মার্কস। এগুলি না দেওয়াতেই হাইকোর্টে মামলা করেছেন তাঁরা।
বিশ্বজিৎ গড়াইয়ের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানিয়েছিলেন, "যে ভুলগুলির কারণে আগের তালিকা বাতিল করেছিল হাইকোর্ট, তেমনই একটি ভুল নিয়ে ইন্টারভিউ তালিকা ফের প্রকাশ করা হল। আমরা হাইকোর্টের কাছে এর অনিয়ম ব্যাখ্যা করেছি।" আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আরও জানান, তাদের হাতে ডজন খানেক পরীক্ষার্থীর ভুলের তথ্য আছে, আদালতে সেগুলিও পেশ করা হয়। কিছু প্রশিক্ষণহীনও মামলা দায়ের করেছেন উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে। কোভিড একটু থিতু হতে পুজোর আগেই প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে ৩২০০০-এর বেশি পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই আবারও মামলার জট তৈরি হল।