আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রের চারপাশে পোষ্টার, তমলুকে চাঞ্চল্য!
রাজ্য জুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস বিতর্কের মধ্যেই এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সারাদিন ছুটে বেড়ালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর তিনি মালদহে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই প্রশ্নপত্র ফাঁস বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। কোথা থেকে কেন কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানান।ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলে জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। তবে, মালদহের তিনজন-সহ সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মোট নয়জন পরিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। কারণ বারংবার নিষেধ সত্বেও তাঁরা মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিল। তাঁদের ফোনগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
advertisement
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকে পড়াই তৃতীয় দিন নয়জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে রাজ্যজুড়ে। মালদহে তিনজন। বাকিরা অন্যান্য জেলার। সকল পরীক্ষার্থীর কাছে আমাদের আবেদন কেউ যেন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বা মাধ্যমিক পরীক্ষা পদ্ধতিতে কালিমালিপ্ত করতে কিছু অসাধু লোক এমনটা করছে বলে দাবি পর্ষদ সভাপতি। তাঁরা কিছু আয় করার জন্য টেকনোলজির মাধ্যমে পরীক্ষায় ব্যাঘাত আনার চেষ্টা করছে। তার জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। অনেকেই এই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলছে। এই পরীক্ষার সঙ্গে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে, কিন্তু তাঁরা প্ররোচনায় পড়ে ভুল কাজ করে বসে। যদিও ইতিমধ্যে পর্ষদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত এই চক্র ধরা পড়বে বলে দাবি পর্ষদ সভাপতি।
কিউআর কোড ব্যবহার করায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে পর্ষদের।কিউআর কোড চালু করায় অসাধু চক্র বিপদে পড়েছে। তাই মরিয়া চেষ্টা করছে পরীক্ষাকে ভেস্তে দেওয়ার। ৯ লক্ষ ২৩ হাজার পরীক্ষার্থী নির্বিঘ্নে সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকজন কিশোর কিশোরী ভুল স্বার্থের প্ররোচনায় কিছু ভুল পদক্ষেপ করে ফেলছে।যেসব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে, তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্য কেউ যেন পরীক্ষা হলে মোবাইল ফোন নিয়ে না ঢোকে সেই আর্জিও জানান পর্ষদ সভাপতি।
হরষিত সিংহ