বায়োস্কোপ বর্তমান প্রজন্মের কাছে অচেনা।খঞ্জনি আর গানের তালে বাক্সের ভিতর পাল্টে যেত ছবি।আর তা দেখতেই ভীড় করত কচিকাঁচারা।সময় সভ্যতার এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে বিলুপ্ত গ্রামীণ জনপদের লোকজ সংস্কৃতি বায়োস্কোপ।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর শান্তিনিকেতনে দূর দূরান্তের পর্যটকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বায়স্কোপের মাধ্যমেই কলাভবন ক্যাম্পাস দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।স্বভাবতই যা দেখতে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
কলাভবনের গেটের সামনেই পড়ুয়াদের তৈরি করা হারিয়ে যাওয়া বায়োস্কোপ আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে পর্যটকদের কাছে।রোহিত সেনের তৈরি করা এই বায়স্কোপ যেটি কলাভবনের গেটের কাছে রাস্তার ধারে এটিতে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ কলাভবন চত্ত্বর।কলাভবনে রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্যগুলি থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী কালো বাড়ি, ওয়াল মিউরাল সহ অন্যান্য চিত্র।পাশাপাশি এই বায়স্কোপে একটি কিউবার কোড রয়েছে।
যেটি স্ক্যান করলেই বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্যগুলি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা।ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারলেও বাইরে থেকে পর্যটকদের ক্যাম্পাস দেখার সুযোগ করে দিয়েছে কলা ভবনের ছাত্র রোহিত। তিনি বলেন, \”পর্যটকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেন না।তাই তাদের সুবিধার্থে বায়স্কোপ বানিয়েছি।এটায় চোখ রেখে কলাভবন ক্যাম্পাস পুরোটা দেখা যাবে।লেন্স ব্যাবহার করেছি, পুরো এক মাস সময় লেগেছে বানাতে।\”প্রসঙ্গত আজ থেকে পাঁচ বছর আগে পর্যন্ত পর্যটকেরা বিশ্বভারতীর পাঠভবন, গৌরপ্রাঙ্গণ, আম্রকুঞ্জ, কলাভবন প্রভৃতি ক্যাম্পাস এলাকা ঘুরে দেখতে পারতেন।
কোভিড পরিস্থিতির পর থেকেই ক্যাম্পাসে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।পরে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দেয় ইউনেসকো।বিশ্বের একমাত্র চলমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তকমার অধিকারী।তাই হেরিটেজ রক্ষা করতে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে দূর দূরান্তের দেশ-বিদেশের পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই বায়োস্কোপের ফলে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে বর্তমানে পর্যটকদের।
সৌভিক রায়