তবে কী এই অটোনোমাস শিক্ষা ব্যবস্থা? কী কী সুবিধা পাবে পড়ুয়ারা? বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলি থেকে কতটা সুবিধা মিলবে এই কলেজে? অটোনোমাস কলেজ হলে কী নতুন কোনও বিষয়ে পড়াশোনা হবে?
বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকার দাঁতনের এক ঐতিহ্য দাঁতন ভট্টর কলেজ। পর পর দুবার ন্যাক (NAAC) এর বিচারে মিলেছে সর্বোচ্চ সম্মান। এরপর শিক্ষা বিভাগের কাছে অটোনোমাস বা স্বশাসনের আবেদন জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদনের সিলমোহর দেয় ইউজিসি। এবার শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো নিজেদের মতকরেই পরিচালনা করবে প্রত্যন্ত গ্রামের এই কলেজ।
advertisement
প্রসঙ্গত বাংলার এক প্রান্তে অবস্থিত এই কলেজ। কলেজ থেকে সামান্য কিছুটা দূরে ওড়িশা রাজ্য। স্বাভাবিকভাবে এলাকায় দুই রাজ্যের মিশ্র সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয়। এবার প্রত্যন্ত গ্রামের এই কলেজ পেয়েছে অটোনোমাস স্বীকৃতি। স্বাভাবিকভাবে চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকে বাড়বে আরও কোর্স। নতুন করে বেশ কিছু সার্টিফিকেট কোর্স চালু হবে এই কলেজে।
প্রসঙ্গত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল এই কলেজ। পরীক্ষা ব্যবস্থা এবং অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন বিষয় পরিচালনা হত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। তবে এবার সেই রাশ এসেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে। সম্প্রতি প্রকাশিত করা হয়েছে, নতুন অটোনোমাস বোর্ড এর সদস্যদের নাম।
তবে জানেন অটোনোমাস কলেজে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়? মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট কোর্স হয় না। তবে অটোনোমাস কলেজগুলো চাইলেই বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট কোর্স চালু করতে পারে। শুধু তাই নয় নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা তার ফল প্রকাশ, বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কলেজ।
এছাড়াও কলেজে একাধিক বিষয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। দাঁতন ভট্টর কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু এই কলেজটি প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা। তাদের কথা ভেবে কৃষি নির্ভর একাধিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও কোর্স আগামীতে চালু হবে। শুধু তাই নয় গ্রামীণ এলাকার সংস্কৃতি নিয়ে বিশেষ পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত ইউজিসি মারফত অটোনোমাস স্বীকৃতি পাওয়ার পর একাডেমিক বোর্ড গঠন করেছে দাঁতন ভট্টর কলেজ। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু হবে পঠন পাঠন ব্যবস্থা। উচ্চ মাধ্যমিক পাস পরীক্ষার্থীরা ভরতিহতে পারবে এখানে। শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত গ্রামের এই কলেজে বাড়বে পড়াশোনার মান। গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়াবে এই কলেজ। স্বাভাবিকভাবে খুশির হাওয়া শিক্ষা মহলে।
রঞ্জন চন্দ