এর আগেও তিনি দু’বার এই পরীক্ষায় বসেছিলেন, কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করেননি। তবু হাল ছাড়েননি। প্রতিবার নিজেকে নতুনভাবে প্রস্তুত করে আবার ঝাঁপিয়েছেন। তবে নিলুফার গ্রামের বাড়ি মঙ্গলকোট ব্লকের একটি গ্রামে। নিলুফারের কথায়, “দুইবার ব্যর্থ হবার পরও আমি জানতাম, আমি পারব। এবারে লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র পাশ নয় শীর্ষস্থানে পৌঁছানো।” ফলাফল ঘোষণার দিন তাঁর পরিবারে যেন উৎসবের আমেজ। প্রথমে র্যাঙ্ক দেখে বিশ্বাসই করতে পারেননি নিলুফা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পরে নিশ্চিত হয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। এক ছোট শহরের ছাত্রী হয়ে গোটা দেশের মধ্যে সেরা হওয়া , সত্যিই এক গর্বের মুহূর্ত। শুরু থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন নিলুফা। স্কুল, কলেজ, এমনকি স্নাতকোত্তর স্তরেও ধারাবাহিক ভালো ফল করে গেছেন। পড়ানোর প্রতি ভালবাসা থেকেই তিনি শিক্ষকতা পেশাকে জীবনের লক্ষ্য করেছেন। সেই লক্ষ্যেই হাতে কলমে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন UGC NET ও JRF-এর জন্য। নিলুফার এই জয় শুধু তাঁর একার নয়।
এটি প্রমাণ করে দেয় মেধা, পরিশ্রম আর মানসিক জেদের সম্মিলনে সব বাধা পেরোনো যায়। তাঁর এই পথচলা আজ কাটোয়ার অসংখ্য তরুণ তরুণীর কাছে এক উদাহরণ। বিশেষ করে যারা বারবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়ে স্বপ্ন ছেড়ে দেন তাঁদের জন্য নিলুফার গল্প অনুপ্রেরণার বাতিঘর। বাংলার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন আজ গোটা দেশের সামনে প্রমাণ করে দিলেন , সংকল্প থাকলে সাফল্য শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী