সত্তরের মধ্যে ৩৫ নম্বরের শর্ট প্রশ্ন থাকে। আর বাকি ৩৫ নম্বর থাকে ব্রড প্রশ্ন। শর্ট প্রশ্নের মধ্যে ২১ টি এমসিকিউ ও ১৪ টি এসিকিউ থাকে। প্রথম পর্যায়ে একুশটি ছোট প্রশ্নের মধ্যে থাকে না কোন অথবা প্রশ্ন। হলে ২১ টি প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের। ভূগোলে নম্বর তোলার ক্ষেত্রে এই শর্ট কোশ্চেনগুলো সব কটি ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন উত্তর ভুল হলে নম্বর কাটা যাওয়ার ভয় থাকে, তাই বাড়তি সচেতন থাকতে হবে। প্রত্যেকটা চ্যাপ্টার খুঁটিয়ে পড়তে হবে, বিশেষ করে যে টেক্সট বইগুলো রয়েছে তার। খুব একটা কঠিন প্রশ্ন আসে না। খুঁটিয়ে পড়লে ছাত্রছাত্রীরা অনাসেই উত্তর দিতে পারবে। পরবর্তীতে ১৪ এসিকিউর মধ্যে নয় দশটি প্রশ্নের অথবা প্রশ্ন থাকে। ফলে অথবা না থাকা প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষক। কোন প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে অথবা থাকবে আর কোন প্রশ্ন গুলির ক্ষেত্রে অথবা থাকবে না তার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। ফলে এই পর্যায়ে একটু ভালোভাবে পরীক্ষা দিলেই ৩৫ নম্বরের মধ্যে ভাল নম্বর তোলা সম্ভব। ব্রড কোশ্চেন এর ক্ষেত্রে যে ৩৫ নম্বর থাকে তাতে পাঁচটি সাত নম্বরের কোশ্চেন থাকবে। তার মধ্যে তিনটি কোশ্চেন এর সঙ্গে অথবা থাকবে। বাকি দুটি প্রশ্ন সিঙ্গেল কোশ্চেন থাকবে। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ভূগোল থেকে দুটি প্রশ্ন আসতে পারে। ভারত ও অর্থনৈতিক ভূগোল থেকে তিনটি প্রশ্ন হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি হবে তুখোড়! সন্তানকে রোজ খেতে দিন এই ৫ খাবার! পরীক্ষার রেজাল্ট হবে দারুণ
তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ভূগোল থেকে যে প্রশ্ন থাকে তাতে অথবা প্রশ্ন দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক পাঠ থেকে যে তিনটি প্রশ্ন হয় তাতে একটি প্রশ্নে অথবা থাকলেও বাকি দুটির ক্ষেত্রে অথবা থাকে না। ফলে বিকল্প প্রশ্ন পাওয়ার সুযোগ নেই এক্ষেত্রে। প্রতিটি চ্যাপ্টারকে খুঁটিয়ে পড়লে সব কোশ্চেনেরই উত্তর দেওয়া সম্ভব বলেই জানান বিশিষ্ট ভূগোল শিক্ষক সমর সাহা। পয়েন্ট করে উত্তর লেখা, প্রাকৃতিক ভূগোলের ক্ষেত্রে ছবি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি খাতা সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে পরীক্ষক বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন খাতাটি ফলে বাড়তি নম্বর মেলার সুযোগ থাকে বলেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই লাস্ট মিনিট টিপস দিলেন ভূগোলের এই বিশিষ্ট শিক্ষক।
Rudra Narayan Roy