তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যেন মৈনাক। সে সিবিএসসি বোর্ডের মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মৈনাকের বাবা মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী একজন ব্যবসায়ী এবং মা সুপ্রিয়া চক্রবর্তী গৃহবধূ। ছেলের এই অসামান্য সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁরাও।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি হলে কি আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব? ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির
advertisement
শিক্ষাক্ষেত্রে এই অনন্য কৃতিত্বের জন্য মৈনাককে ‘টাইমস’-এর পক্ষ থেকে মেডেল ও বিশেষ সংবর্ধনাপত্রেও সম্মানিত করা হয়। স্কুলের প্রিন্সিপাল জয়প্রকাশ রাই জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকার নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত পড়াশোনার পরিবেশ এবং মানোন্নয়নে তারা সদা সচেষ্ট। মৈনাকের এই প্রাপ্তি তাঁদেরও পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফসল। বিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক মানের প্রযুক্তি-সহ নানাভাবে শিক্ষাদান করা হয় ছাত্রছাত্রীদের।
ফলে সীমান্ত শহরে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কুল বিশেষভাবে নজর রাখে। এমন একটি সাফল্য শুধু বনগাঁর নয়, গোটা জেলার শিক্ষাক্ষেত্রে গর্বের বিষয়। মৈনাকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, একজন সফল চিকিৎসক হয়ে সমাজের সেবা করা। সীমান্ত এলাকার এই কৃতি ছাত্রের উপর তাই এখন অনেকটাই আশা রাখছে বনগাঁবাসী।
Rudra Narayan Roy