এই এপিসোডের শুরুতে পুরো থিম সং-টি পারফর্ম করবেন সঙ্গীতশিল্পী এবং গায়ক সেলিম মার্চেন্ট। নরসিংহন শেষ বার BYJU’S Young Genius সিজন 2-এর সেটে আসবেন এদিন, সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দেবেন এই শো-এর বিচারকরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কারণ এই শো-এর এপিসোডে নিজেদের প্রতিভা দেখানোর জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়েছিল, সেখান থেকে বাছাই করার কঠিনতম কাজটি করেছে এই বিচারকরাই।
advertisement
বিচারকরাও এদিন স্বীকার করে নেন, প্রতিটি এপিসোডে আসা প্রতিভাবান কিশোর-কিশোরীদের দেখে তাঁরা নিজেরাও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। ছোটদের কাছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম আর সুযোগ দেওয়ার জন্য লেখক আমিশ ত্রিপাঠী এই শো এবং তার ফর্ম্যাটকে ধন্যবাদ জানান। সঙ্গীতশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন বলেন, এখানে তিনি এমন কয়েক জন প্রতিভাবান খুদেকে দেখেছেন যাদের মধ্যে গোটা সমাজ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, এত কম বয়সে এমন পরিণতমনস্কতা দেখে যে কেউ অনুপ্রেরণা পাবেন।
এরপরে নরসিংহন খুদে প্রতিভাবানদের প্রদর্শিত মেধার কিছু মুহূর্ত ক্লিপিংয়ের আকারে তুলে ধরেছেন এবং আরও একবার তাদের মেধা ও দক্ষতার নিদর্শন সকলের সামনে উঠে আসতে চলেছে। আরও একবার দেখা যাবে কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়ন তাজামূল ইসলামের হাই কিক। পর্দায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে সেই মুহূর্ত যখন রেসলিং-এ ন্যাশনাল গোল্ড মেডেলিস্ট চঞ্চলা কুমারী অন্তত 20 কেজি বেশি ওজনের গীতা ফোগাটকে অনায়াসে কোলে তুলে নিয়েছিল। যখন দক্ষ সেতার বাদক অধিরাজ চৌধুরী যখন 600টি নোট সুন্দর ভাবে বাজিয়েছিল এক মিনিটের মধ্যে, এই শো-এর বিভিন্ন এপিসোডে তৈরি হওয়া এমনই নানা বিরল মুহূর্তের কোলাজ তুলে ধরা হবে শেষ এই এপিসোডে।
এই মুহূর্তগুলি আপনি বারবার দেখলেও ক্লান্ত হবেন না। এই ছোট ছোট ক্লিপিংগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন, এখানে যে খুদে প্রতিভাদের আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে কতটা অনন্য ক্ষমতার অধিকারী। এই কিশোর-কিশোরীরা যেকে জীবনের আদর্শ হিসেবে মান্য করে, সেই সমস্ত বরেণ্য মানুষদের সামনে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ, তাঁদের কাছ থেকে প্রশংসা এবং অনুপ্রেরণা পাওয়ার উচ্ছ্বাস BYJU’S Young Genius সিজন 2-কে সবচেয়ে স্মরণীয় করে তুলেছে।
ছোট থেকে যাঁকে দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছে সেই গীতা ফোগাটকে মঞ্চে আসতে দেখে চঞ্চলা কুমারীর উচ্ছ্বাস, যেভাবে বিদ্যুৎ জামাওয়ালকে দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিল কালারিপায়াত্তু-তে দক্ষ নীলাকান্দন নায়ার এবং অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ-মেডেল জয়ী বক্সার লাভলিনা বোরগোহায়েনকে নিজের সামনে দেখে বাকরূদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তাজামুল, এই অমূল্য প্রতিক্রিয়াগুলিই এই শো-এর সম্পদ।
#BYJUSYoungGenius2-এর এই সিজনে দেখা গিয়েছে বহু আবেগঘন মুহূর্তও, বিশেষ করে যখন এই মেধাবী ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাবা-মায়েরা তাঁদের গর্বের কথা জানিয়েছেন। তাজামূলের বাবা জানিয়েছিলেন যে মেয়ে ইতালি যাওয়ার সময়ে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন আবার মেয়ে ফাইনালে জেতার পরে তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি, তাঁর কথা শুনে দর্শকরাও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। আবার যখন ক্লাসিকাল নৃত্যশিল্পী নীলা নাথের বাবা যখন জানিয়েছিলেন যে মাত্র তিন বছর বয়সে মাকে হারিয়ে ছোট্ট নীলা মায়ের স্বপ্নকে সত্যি করতে নাচ শিখতে শুরু করে, সেই মুহূর্তটিও বহু দর্শকের চোখে জল এনে দিয়েছিল। এই মুহূর্তগুলি মনে করিয়ে দেয়, সন্তানের মেধা ও প্রতিভা লালন করার এবং জগতের সামনে তুলে ধরার জন্য অভিভাবকদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এই শো-তে আসা প্রত্যেক খুদের প্রতিভা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এই খুদেদের প্রতিভাকে প্রথম চিনেছিলেন তাদের বাবা-মা। তাঁদের হাত ধরেই এই মেধাবী ও প্রতিভাবান জিনিয়াসনরা আজকের সাফল্য পেয়েছে, তাই অভিভাবকরাও প্রশংসা ও স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার।
এই সেগমেন্টের পরের অংশ চোখে জল মুছিয়ে দিয়ে ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে তোলে। এখানে দেখা যাবে এই খুদে জিনিয়াসদের দুষ্টুমিষ্টি রূপ। দেখানো হবে সেই মুহূর্তগুলি, যখন সাঁতারু জয় যশ্বনাথ কিছু প্রশ্নের উত্তরে ইডলি এবং ধোসার নাম বলেছিল, আবার আব্দুল কাদির ইন্দোরি যখন বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সবার সাথে মজা করার কিছু কথা বলেছিল।
তবে এই এপিসোডের সবচেয়ে আকর্ষীয় অংশ হল, সেই সেগমেন্ট যেখানে কিছু না-দেখা ফুটেজ তুলে ধরা হবে। বিভিন্ন এপিসোডে তরুণ জিনিয়াসদের সাথে আলাপ পর্বের এই অংশগুলি ফাইনাল কাটে বাদ পড়ে গিয়েছিল।
এখানে দেখতে পাবেন তাজামূল দেখাচ্ছে লাভলিনাকে, কীভাবে সে এপিসোডের ইন্ট্রো মুভ অনুশীলন করেছে। আবার, নীলাকান্দনের লাঠিখেলা দেখে তার সাথে যোগ দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ নিজেও। আবার অ্যাবস্ট্রাক্ট পেন্টার অদ্বৈত কোলারকর শো-এর মঞ্চে দাঁড়িয়েই একটি অ্যাবস্ট্রাক্ট পেন্টিং সম্পূর্ণ করে ফেলেছিল, এই দৃশ্যগুলি দর্শকরা নিশ্চিত ভাবেই উপভোগ করবেন।
অবশ্যই এর মধ্যে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় দৃশ্য হল, যখন বোর্ড গেমস ডিজাইনার বীর কাশ্যপ অভিনেত্রী মৌনী রায়কে একটি কার্ডের কৌশল দেখিয়ে অবাক করে দেবে, তার সাথে আমাদেরও!
এতদিন প্রতিটি এপিসোড দেখে যে আনন্দ পেয়েছেন, BYJU’S Young Genius সিজন 2-এর এই শেষ এপিসোডটি আপনাদের সেই আনন্দ আরও একবার ফিরিয়ে দেবে। এখানে পুরোনো এপিসোডের সেরা মুহূর্তগুলি আরও একবার দেখতে পাবেন এবং তার পাশাপাশি আরও একবার মনে পড়ে যাবে, এই খুদে জিনিয়াসদের কাছ থেকে আমরা কত কিছু শিখেছি। তারা কতটা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাই BYJU’S Young Genius আবারও ফিরে আসবে নতুন ঝলক নিয়ে, কিন্তু এই সিজনের শেষ এপিসোড একদমই মিস করবেন না। পুরো এপিসোডটি এখানে দেখে নিন।