পুলিশ সূত্রে খবর ,সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ ১০০ ডায়ালে ফোন করে রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার ৩৩সি মনোহর পুকুর রোডের পুষ্পক অ্যাপার্টমেন্টর তিন তলার বাসিন্দা অরবিন্দ বাজাজ জানায় তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ও তার ১৮ বছরের মেয়েকে খুন করেছে সে।এর পরই রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ তড়িঘড়ি তার দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে যায়।দরজা খুলে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় অরবিন্দ এর স্ত্রী ও মেয়ে মেঝেতে পড়ে আছে।
advertisement
আরও পড়ুন-আজ অভিষেক ত্রিপুরায়, কাদের দলে টানবেন, চূড়ান্ত জল্পনা...
পুলিশ তড়িঘড়ি অরবিন্দর মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় কারণ সে বেঁচে ছিল আশঙ্কাকাজনক অবস্থায়। যদিও ঘটনাস্থলেই অরবিন্দর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু হয়েছে।প্রিয়াঙ্কার শরীরের একাধিক জায়গায় ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর চিহ্ন মিলেছে।মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।এর পরই শুরু হয় অরবিন্দকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ কেন এই রকম ঘটনা ঘিটিয়েছে সে। ঘটনাস্থলে আসে হোমিসাইড শাখার পলিস।ঘরের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন-চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা- উত্তর চব্বিশ পরগণা, রাজ্যের করোনা চিত্রে বদল নেই
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অরবিন্দ এর দু বছর ধরে বেকার সেই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল।আর এই কারণে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হতো।নানা ধরণের টানাপোড়েন চলছিল।সেই অবসাদের থেকেই এই ঘটনা।পুলিশ জানতে পারে আজ সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে বচসা চলছিল। সেই সময় ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে স্ত্রীকে।চিৎকার শুনে মেয়ে বেরিয়ে এসে মাকে বাঁচাতে যায়।সেই সময় রাগের বশে মেয়েকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরপর অরবিন্দ ১০০ তে ফোন করে।
ওই বাড়ির কেয়ারটেকারের দাবি অরবিন্দ এর স্ত্রী সকালে প্রতিদিন কাজের জন্য বেরোত। মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হতো দম্পতির। আজও চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছিল। পুলিশ ঢুকতে দেখে সে ও যায় ওপরে গিয়ে দেখে ওই অবস্থা।
তবে কি শুধু মানসিক অবসাদের জন্যই এই খুন নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য! সেই বিষয়ে জানতে গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।