কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দু'বছরের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়। নির্যাতিতাকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ বছর বয়সি সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম বিনয় ধাড়া। সে কাটোয়ার শ্রীখণ্ডের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ওই ঘটনা ঘটে। কাটোয়া আদালতের সরকারি আইনজীবী সরোজ দাস বলেন, নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত যুবককে বিচারক সাজা শুনিয়েছেন। এতে এই ধরনের অপরাধীরা সচেতন হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: এসেছে নতুন অতিথিরাও, পূর্বস্থলীর চুপি চরে শুরু পাখি গণনার কাজ
অন্যদিকে সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবী কাজি লাইসুল হকের দাবি, আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। উচ্চ আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। ওই দিন মেয়েটির মা মঙ্গলকোটের কল্যাণপুর গ্রামে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। বাবা ও মেজ দিদির সঙ্গে বাড়িতে ছিল ওই কিশোরী। রাতে সে শৌচালয়ে গেলে বিনয় তাকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে মেজদিকে ঘটনার কথা জানায় ওই কিশোরী।
পরের দিন মেয়েটির মা ফিরে এসে ঘটনার কথা শোনেন। এরপর তিনি অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট হয়। পাশাপাশি পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে। তার জেল- হেফাজতও হয়। পরে জামিনে ছাড়া পায় সে। সেই মামলার শুনানির পর ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
