চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেখতে চান মেডিক্যালের এমএসভিপি। দুই প্রার্থী মোবাইলে তাঁদের নিয়োগপত্র দেখান। এতে আরও সন্দেহ বাড়ে। চাকরিপ্রার্থী দুই জনকে অফিসে অপেক্ষা করতে বলে মেডিক্যালের কর্তারা খবর দেন পুলিশে। দু'জনকে পুলিশ আটক করে। পরে পুলিশে অভিযোগও করা হয় মেডিক্যালের পক্ষ থেকে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হবিবপুরের এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নদীর তীরে ওটা কী? কাছ থেকে দেখে চরম আতঙ্ক হাড়োয়ায়!
লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে দুই চাকরিপ্রার্থীকে ‘ভুয়ো’ নিয়োগপত্র দেয় ধৃত যুবক, দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার ধৃত প্রকাশ সাহাকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মালদহ মেডিক্যালের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে হইচই পড়েছে। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে চাকরিতে যোগ দিতে আসার ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার দুপুরে গ্রুপ-সি পদের জন্য নিয়োগপত্র নিয়ে দুই যুবক, যুবতী এমএসভিপির অফিসে আসেন। তাঁদের নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয় মেডিক্যাল কর্তার।
আরও পড়ুন: উর্দিধারী ডাক্তার? বাস দুর্ঘটনার পর পুলিশ সুপারের কীর্তিতে হতবাক মালদহবাসী! দেখলে চমকে যাবেন
নিয়োগপত্রে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও ঠিকানা বা কোন পদের জন্য নিয়োগ হচ্ছে, সে তথ্য ছিল না। এ ছাড়া স্বাস্থ্য দফতরে নিয়োগের কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়নি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার সহ-অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা বলেন, 'দুই চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগপত্র দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়।' মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পরেই পুলিশ তৎপর হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরের বাসিন্দা দুই যুবক, যুবতীকে আটক করে হবিবপুরের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা প্রকাশ সাহার নাম উঠে আসে। প্রকাশ চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগপত্র দেন বলে তাঁরা দাবি করেছেন। এ ছাড়া প্রকাশের কথাতেও অসঙ্গতি রয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, মেডিক্যাল কলেজের অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ধৃতদের। ঘটনায় আরও কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হরষিত সিংহ