জানা যায়, বারো বছর আগে সান্ত্বনা প্রামাণিকের সঙ্গে দত্তফুলিয়ার বাসিন্দা মধু প্রামাণিকের বিয়ে হয়৷ তিনি কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন৷ সান্ত্বনা ১০ বছরের মেয়ে সাথীকে নিয়ে কলমবাগান এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন৷ এরপর, সান্ত্বনা বাগদার বাসিন্দা অনন্তর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ সম্প্রতি সান্ত্বনা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। আর তার জেরে অনন্ত তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলেই অভিযোগ। মাস দুয়েক আগে সান্ত্বনাকে অনন্ত মারধরও করে বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: সেরার সেরা, বাংলার এই স্কুলকে নিয়ে চর্চা এখন দেশজুড়ে! কৃতিত্ব শুনলে গর্ব হবে
পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সেদিন সকাল থেকে সান্ত্বনাকে ফোন করছিলেন তাঁরা। তবে মোবাইল সুইচড অফ ছিল। তারপর পরিজনেরা সান্ত্বনার ভাড়া বাড়িতে আসেন। দেখেন, বিছানার উপর পড়ে রয়েছেন, গলায় ওড়নার ফাঁস। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মৌমিতা সাহা নামে একজনকে গ্রেফতার করে। জেরায় মৌমিতা জানায়, সে এবং অনন্ত পরিকল্পনা করে সান্ত্বনাকে খুন করে। কেন খুন করা হল সান্ত্বনাকে!
আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ শহরে কম মেট্রো চলছে, অবশ্যই জেনে নিন
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি মৌমিতার সঙ্গেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল অনন্ত। সান্ত্বনা ওই সম্পর্কে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই পরিকল্পনা করে সান্ত্বনাকে খুন করা হয়। বনগাঁ মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী অসীম দে বলেন, ‘ত্রিকোণ প্রেমের জেরে অনন্ত বিশ্বাস ও মৌমিতা সাহা পরিকল্পিত ভাবে খুন করে সান্তনা প্রামাণিককে। অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাহতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক’।
রুদ্র নারায়ণ রায়