তল্লাশি চালিয়ে একটি বাগান থেকে বালতি ভর্তি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর দেওয়া হলে বোম স্কোয়াডের কর্মীরা এসে বোমাগুলি নিক্রিয় করে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে বোমা মজুত করে রেখেছিল তা খতিয়ে দেখতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। তবে এই বোমা উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের ইঞ্জিনিয়রদের বড় দিন, জয়েন্টের ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন শুরু
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে ব্যাগে করে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা দেখে ফেলায় গা ঢাকা দেয়। তারপরেই এদিন সকালে এলাকায় বোমা উদ্ধার হয়। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে এলাকায় বোমা মজুত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। এলাকাবাসী হাবিউল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাতে আমরা কয়েকজন মাঠে বসেছিলাম। দুজন দুষ্কৃতী এলাকায় বোমা আর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। ওরা তৃণমূলের লোক। আমরা দেখে ফেলায় ওরা পালিয়ে যায়। তারপর সকালে জানতে পারি এলাকায় বোমা উদ্ধার হয়েছে। আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।’
আরও পড়ুন: মুদি দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করতে করতেই পড়া, উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম সন্দীপ
এলাকাবাসী মিরাজুল মণ্ডল বলেন, ‘সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে বোমা মজুত করা হচ্ছে। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক।’ রায়পুর অঞ্চলের কংগ্রেসের সভাপতি আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বাম-কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বোমা মুজত রেখে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সেই উদ্দেশ্যেই এলাকায় বোমা মজুত করা হচ্ছে। পুলিশি তদন্ত করলেই সত্যিটা জানা যাবে।’ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রায়পুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মিনারুল শেখ। তিনি বলেন, ‘এই এলাকা বিরোধী শূন্য। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে বিরোধীরাই এই কাজ করছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়