সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জাইকোভ-ডি (ZyCov-D) নামে এই ভ্যাকসিনের ১০ থেকে ১২ ডোজ বছরে ভারতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করে মজুত করার কাজ শুরু করেছে সংস্থা৷
গত ১ জুলাই জাইকোভ-ডি নামে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল জেনেরিক ওষুধ নির্মাতা সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা৷ দেশজুড়ে প্রায় ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রয়োগের পর এই ভ্যাকসিনের ৬৬.৬ শতাংশ কার্যকরিতা প্রমাণিত হয়েছে৷
advertisement
জাইকোভ-ডি করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের প্রথম প্লাজমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন৷ করোনা ভাইরাসের জিনগত উপাদান ব্যবহার করেই রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরির জন্য শরীরের ডিএনএ বা আরএনএ-কে নির্দেশ দেয় এই ভ্যাকসিন৷
জাইডাস ক্যাডিলার এই ভ্যাকসিনটি ভারত সরকারের বায়োটেকনোলজি বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে৷ কোভ্যাক্সিনের পর এটিই ভারতে তৈরি করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন৷ নির্মাতা সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, তাদের তৈরি এই ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট সহ করোনার নতুন মিউট্যান্ট-গুলিকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে৷ এমন কি, প্রথাগত সিরিঞ্জের বদলে সুঁচবিহীন সিরিঞ্জ দিয়েও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা সম্ভব৷
