TRENDING:

World No Tobacco Day 2021: সচেতন করেছে অতিমারী, ধূমপান ছাড়তে চাইছেন অনেকেই!

Last Updated:

মহামারীতে অনেক ধূমপায়ী ছাড়তে চাইছেন তাঁদের পুরোনো নেশা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পুনে: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর... ধূমপান ক্যানসারের কারণ... এমন বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেখার ও শোনার পরও কোনও দোকানে সিগারেটের লাইন নেহাত কম থাকে না। ধূমপান করলে কী ক্ষতি হয় তা সকলেরই জানা, তবুও ধূমপান ছাড়তে পারেন না কয়জন! কিন্তু কোভিড ১৯ অতিমারীতে মানুষ ধূমপানের ভয়াবহতা আরও টের পেয়েছেন। চিকিৎসকেরা প্রথম থেকে ধূমপায়ীদের মধ্যে কোভিড ১৯-এর উপসর্গগুলি যে আরও ভয়াবহ আকার নেয়, সে বিষয়ে সতর্ক করে এসেছেন। তাই মহামারীতে অনেক ধূমপায়ী ছাড়তে চাইছেন তাঁদের পুরোনো নেশা।
advertisement

৩১ মে, বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল সালাম মুম্বাই ফাউন্ডেশন, নারোতাম সেখসারিয়া ফাউন্ডেশন এবং লাইফফার্স্ট (Salaam Mumbai Foundation, Narotam Sekhsaria Foundation and LifeFirst)। 'ভারতে তামাক নিবৃত্তি: নীতি, অভ্যাস, চ্যালেঞ্জ' এই শিরোনামের ওয়েবিনারটি বক্তব্য রাখেন দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক শুরু করে স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যক্তিত্ব। ওয়েবিনারে প্যানেলের বিশেষজ্ঞেরা কী ভাবে কোভিড ১৯ মহামারীতে তামাক ব্যবহারকারীরা তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ছাড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

advertisement

যেমন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরো সায়েন্সেস (NIMHANS) বেঙ্গালুরুর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রতিমা মূর্তি (Dr. Pratima Murthy) বলেন, "ধূমপান ত্যাগ করার জন্য যে সব মানুষ ফোন করেন এবং রেজিস্টার করেন তাঁদের অনুপাত এখন অনেক বেশি, অনেক মানুষ সত্যি ছেড়ে দিতে চাইছেন। কোভিডের সময়ে এবং অসুখটিকে নিয়ে স্বাস্থ্যের উদ্বেগের কারণে ৯০ শতাংশ মানুষ ফোন করছেন।" পাশাপাশি লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে সবসময় থাকতে হওয়ায় অনেকেই সন্তানদের কাছে নিজেদের ধূমপান প্রকাশ পাওয়া নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। ফলে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি মানুষ ধুমপান ত্যাগ করতে চেয়েছেন। আবার লকডাউনে কাউন্সেলাররাও মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বোতভাবে সাহায্য করছেন। ডা. মূর্তি জানিয়েছেন, "আমাদের কাউন্সেলররা কেন্দ্র ভিত্তিক কাউন্সেলিং থেকে লকডাউনে বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়েছেন, তাই আমাদের সিস্টেমে যা কল এসেছে তা কাউন্সেলরদের দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা এটি তাদের বাড়ি থেকে চালাতে সক্ষম হয়েছিলেন।"

advertisement

উল্লেখ্য, গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ (Global Burden of Disease)-এর তথ্যে ধরা পড়েছে, ২০১৯ পর্যন্ত ভারতে ১৫-২৪ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি তামাক সেবন করেন বলে। ১৯৯০ সাল থেকে এদেশে এই বয়সের যুবক পুরুষ ধূমপায়ীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা ছিল ১.১ বিলিয়ন, যেখানে ৭.৭ মিলিয়ন মানুষের ধূমপানের কারণে মৃত্যু হয়েছে।

advertisement

ধূমপায়ীর সংখ্যা নথিভুক্ত করতে সাধারণত রাজ্য সরকারের থেকে তথ্য নেওয়া হয়। তাই কেন্দ্রের তরফে এমআইএস (MIS)-এর মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আনা হয়েছে যার মাধ্যমে সহজেই তথ্য নথিভুক্ত করা যাবে। খুব শীঘ্রই কেন্দ্রের তরফে এটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টরেট জেনারেল এবং এডিশনাল ডেপুটি জেনারেল এবং ডিরেক্টর (ইএমআর) ড. এল স্বস্তিচরণ (Dr. L. Swasticharan)।

advertisement

অন্য দিকে, পাসওয়াম হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এস কে টোক (Dr S K Toke) তামাক এবং ফুসফুসের রোগের মধ্যে যোগসূত্রের উপরে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, "সিগারেট পান তামাকের ব্যবহারের অন্যতম সাধারণ ধরন এবং এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাসের মাত্রা আরও বেশি বাড়িয়ে তোলে।"

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
World No Tobacco Day 2021: সচেতন করেছে অতিমারী, ধূমপান ছাড়তে চাইছেন অনেকেই!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল