ত্বকে চুলকানি হতে পারে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, ফুসকুড়িও হতে পারে।
ত্বকের লিপিড নষ্ট হতে পারে। ফলে ত্বক কেটে যেতে পারে।
যাঁরা একজিমায় ভুগছেন যেমন অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস, ইত্যাদি হলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সাবানের রাসায়নিকগুলির জন্য ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রর্তা হারিয়ে যায়।
যে সব সাবানে সোডিয়াম লরিল সালফেট, সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সুগন্ধি, ট্রাইক্লোসানের মতো উপাদান রয়েছে সেগুলি সত্যিই ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, এপিডার্মাল ত্বকের কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং ত্বকের পিএইচ বাড়িয়ে দেয়। ফলে, শুষ্কতা, ছাল উঠে যাওয়ার পাশাপাশি গুরুতর একজিমা হতে পারে।
advertisement
অতিরিক্ত হাত ধোয়ার কারণে হওয়া সমস্যা নিরাময়ে কয়েকটি নিয়ম, হাত নরম রাখতে প্রতিবার হাত ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে একটি হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়। কারণ এটি শুধু ময়েশ্চারাইজ করবে না, একই সঙ্গে ত্বককে সতেজও রাখবে। ঘুমানোর মধ্যে হাত ঠিক করতে রাতে হাত ধুয়ে ভালো করে ভারী ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
একটি মৃদু হ্যান্ড ওয়াশ অথবা সাবান এবং গন্ধবিহীন হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।
হাত ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিতে হবে যাতে হাতের অণুজীব এবং ত্বকে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়।
হাত ধোয়ার পর না ঘষে খুব হালকা ভাবে নিজস্ব তোয়ালে কিংবা পেপার তোয়ালে দিয়ে মুছতে হবে।
সিরামাইড ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার, হাইড্রোপনিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, কোকো বাটার, শিয়া বাটার ভিত্তিক ঘন ময়েশ্চারাইজার, মুপিরোসিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং যদি একজিমা হয় তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস আসার আগেও রোগ প্রতিরোধের একটি কার্যকরী উপায় হিসাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৫ অক্টোবর হাত হাত ধোয়ার দিবস পালিত হত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানিয়ে হয়েছে যে হাত হল জীবাণু ছড়ানোর প্রধান পথ এবং তাই সংক্রমণ এড়াতে হাত ধোয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই নিজেদের সুরক্ষার জন্য হাত ধোয়া যেমন প্রয়োজন, তেমনই ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি।