এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কোমর্বিডিটি যুক্ত রোগীর শারীরিক জটিলতা কার কতোটা বেশি, সেই দিকটি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বলেছেন, টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কিছু নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। যেমন ডায়াবেটিস আছে কি না, রেচনতন্ত্রের সমস্যা কিংবা শ্বাসযন্ত্র সম্পর্কিত সমস্যা আছে কি না।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্ব অনুযায়ী অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেমন এক জনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু অন্য একজন ১০ বছর ধরে ইনসুলিন নিয়ে যাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে ইনসুলিন নেওয়া ব্যক্তিকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তির তুলনায় অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়া শুরুর প্রথম ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ৩০ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। এছাড়াও করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ-সহ অতিমারির বিরুদ্ধে যাঁরা লড়ে চলেছেন তাঁদের আগে টিকা দেওয়া হবে।
advertisement
ডোজের বিষয়ে তিনি বলেন, এ রকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই যে প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। একমাত্র ব্রিটেনই প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা বলেছে। শুরুতেই অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন৷
এই ভ্যাকসিনের খরচ কতো? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের উদ্যোগেই টিকা দেওয়া হবে। তাই এক্ষেত্রে নাগরিকদের বিনামূল্যেই করা হবে টিকাকরণ।
তবে ভারতে কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকা বিনোদ প্রধান শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সমগ্র দেশবাসীর টিকাকরণের খরচ কেন্দ্র থেকে করা হবেনা৷ প্রথম দফার স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার খরচই বহন করবে সরকার। পরবর্তী ক্ষেত্রে কি করা হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শোনা যাচ্ছে, ভারতের বেসরকারি বাজারে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে ৭০০-৮০০ টাকায়।