দেশে কোভিড ১৯ ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা- এই প্রসঙ্গ বার বার উঠে এসেছে আলোচনায়। বক্তব্যে ড. স্বামীনাথন সেই দিকটি নিয়ে আলোচনা করতে ভোলেননি। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে কোভিড ১৯-এর তৃতীয় তরঙ্গ শিশুদের বিশেষ করে সমস্যায় ফেলবে, এরকম কোনও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, ফলে তাদের অনর্থক বাড়িতে বসিয়ে রাখার মানে হয় না।
advertisement
নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকটি যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন ড. স্বামীনাথন, তিনি জোর দিয়েছেন শিক্ষাব্যবস্থার টালমাটাল দশার উপরেও। জানিয়েছেন যে দীর্ঘ দিন ধরে বাড়িতে এই ভাবে বন্দী হয়ে থাকা অনেক শিশুর উপরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, পাশাপাশি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও প্রায় চলে গিয়েছে রসাতলে। সেই জায়গা থেকে হাল ধরতে হলে আর দেরি করা চলবে না, এমএস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (MS Swaminathan Research Foundation) একটি ট্যুইটের জবাব দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন তিনি।
ড. স্বামীনাথনের বক্তব্য- স্কুলের সঙ্গে যুক্ত সব প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ যদি সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে, ফেস মাস্ক পরে, হাত পরিষ্কার রেখে, ঘরের ভিতরে গান গাওয়া বা কোনও জমায়েত থেকে বিরত হয়ে ফের পঠন-পাঠন শুরু করা যেতেই পারে! শিক্ষামন্ত্রক অবশ্য এখনও স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি, বরং সম্প্রতি অনলাইন শিক্ষাপদ্ধতির সঙ্গে কী ভাবে অভিভাবকরা একাত্ম হলে শিশুর সুবিধা হবে সেই লক্ষ্যে কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে সম্প্রতি! দেখা যাক, WHO-র ভরসায় এবার সরকারের তরফে স্কুল খোলা নিয়ে কোনও বার্তা আসে কি না!