এই বছরের শেষের দিকে দেশে আঘাত হানতে পারে করোনার তৃতীয় স্ট্রেন। তবে চিকিৎসকরা এবার সতর্ক করেছেন শিশুদের অভিভাবকদের, কারণ তৃতীয় তরঙ্গ প্রভাব ফেলতে পারে শিশুদের উপর। ইতিমধ্যে দশটি রাজ্যের ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বলা হয়েছে দেশের যুবক ও শিশুদের মধ্যে COVID-১৯ সংক্রমণ সম্পর্কিত সব তথ্য সংগ্রহ করা হোক। কারণ, এই তথ্য তাদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন পড়বে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ‘নতুন স্ট্রেন’-এ সিঙ্গাপুরের শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার কথা সামনে এনেছেন। তবে সে দেশের সরকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। তাদের দাবি কোনও নতুন স্ট্রেন নেই সিঙ্গাপুরে। তবে সিঙ্গাপুরে বাচ্চাদের সমক্রমণ হওয়ার জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
advertisement
শিশুদেরকে ভ্যাকসিন দিতে হবে?
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন যে তৃতীয় ঢেউ সম্ভবত শিশুদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমনটি সিঙ্গাপুরে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ভাইরোলজিস্ট ডা: ভি ভি রবি (Dr V Ravi) হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, “প্রথম ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণের হার ছিল ৪%, দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেটা বেড়ে হয়েছে ১০-১৫%। তাই তৃতীয় ঢেউয়ে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ফলে এই মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে টিকা নেওয়াটা সকলের জন্য মঙ্গল”
ভারত কতটা তৈরি?
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা এবং দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে শিশু সুরক্ষার জন্য দেশের সব রাজ্যগুলি ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দিল্লি, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
দিল্লি: রাজধানীতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যে একটি বিশেষ টাস্কফোর্সের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেজরিওয়াল বলেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে”।
কর্ণাটক: রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশীকলা জোলি (Shashikala Jolle) শিশুদের মধ্যে কোভিড -১৯-এর সতর্কতায় বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন।
মহারাষ্ট্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, যে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কতায় বৃহন্নুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (BMC) মুম্বইয়ে একটি পেডিয়াট্রিক কোভিড কেয়ার সুবিধার হাসপাতাল চালু রয়েছে এবং শিশুদের জন্য একটি ক্র্যাচ নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিশুরা কখন ভ্যাকসিন পাবে?
এই মুহূর্তে ভারতের বাজারে দু'টি মাত্র ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে, এবং দু'টিরই শিশুদের উপর প্রয়োগ করার অনুমতি নেই। কারণ শিশুদের ওপর এর ট্রায়াল সম্পন্ন হয়নি। ভারত বায়োটেক ২-১৮ বয়েসীদের জন্য তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের অনুমোদন পেয়েছে, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে এটি শুরু হতে চলেছে।
