চিকিৎসকেরা বলছেন, চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করবে রোগীর শারীরিক অবস্থা কী রকম, তার উপরে। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, সব করোনা আক্রান্তের উপসর্গ এক নয়। অনেকেরই খুব সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়, আবার কেউ কেউ সাঙ্ঘাতিক শ্বাসকষ্টে ভোগেন।
সুতরাং উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে অনেক অসুস্থ রোগীকেই মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছে ডেক্সামেথাসনের মতো স্টেরয়েড। তবে এই ওষুধ আবার তাঁদের দেওয়া যাবে না যাঁদের উপসর্গ সামান্য অর্থাৎ মাইল্ড সিম্পটম দেখা দিয়েছে। তাতে ভালর বদলে রোগীর খারাপই হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই ভাইরাসের জন্য বিশেষ কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। শুধু আপৎকালীন অবস্থার জন্য কয়েকটি বিশেষ ওষুধের কথা বলা হয়েছে। আরও কয়েকটি ওষুধ রোগীকে দেওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল সেই বিষয়ে একটি বিশেষ নির্দেশিকা দিয়েছেন।
advertisement
১. হাসপাতালে ভর্তি করা হোক বা না হোক, অকারণে বাড়তি অক্সিজেন দেওয়ার কোনও দরকার নেই। কোনও বিশেষ ওষুধ নেই যা খেলে করোনা নিরাময় হয়। প্রয়োজন ছাড়া কোনও স্টেরয়েডও দেওয়া উচিৎ নয়।
২. যেখানে রোগী হাসপাতালে আছেন, তাঁকে প্রয়োজনে বাড়তি অক্সিজেন দেওয়া হলেও ব্রিদিং যন্ত্র দেওয়া হবে না। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমিডেসিভির দেওয়া যেতে পারে আর প্রয়োজনে সামান্য স্টেরয়েড।
৩. রোগী হাসপাতালে আছেন এবং ব্রিদিং যন্ত্রও তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তা হলেও অবস্থা বিশেষে তাঁকে স্টেরয়েড আর রেমিডেসিভির দেওয়া যাবে।
৪. নির্দেশিকা অনুযায়ী এই মুহূর্তে প্লাজমা থেরাপি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। ওষুধ ছাড়াও ডাক্তাররা বিকল্প কিছু পদ্ধতিতে চিকিৎসা করছেন যেমন রোগীকে পেটের উপর ভর দিয়ে শুইয়ে রাখা হচ্ছে যাতে তাঁর ব্রিদিং মেশিং না লাগে ইত্যাদি।
