মুখ্যসচিব চিঠি লিখে জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ কম হলেও এখনও প্রচণ্ড সতর্ক থাকতে হবে রাজ্যবাসীকে। কড়া ভাবে কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার পদক্ষেপ করতে হবে। তবেই সংক্রমণ আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। সমস্ত জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় ভাবে করোনার হটস্পট খুঁজে বের করার। এগুলিকেই প্রয়োজনে কন্টেনমেন্ট বা মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
গতকালই কিছু নিয়ম শিথিল করলেও আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকছে বলে নবান্নে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনই বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে না৷ তবে ১৬ জুন থেকে কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে৷ সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই এই ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী৷
রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনই রাজ্যে লোকাল ট্রেন, মেট্রো বা সরকারি-বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে না৷ আগের মতোই চলবে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন৷ নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ জুন থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য খুচরো বাজার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে৷ অন্যান্য সমস্ত দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত৷ পঞ্চাংশ শতাংশ বসার জায়গা নিয়ে বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু করা যাবে রেস্তোরাঁ এবং পানশালা৷ মোট ধারণ ক্ষমতার তিরিশ শতাংশ ক্রেতার প্রবেশের অনুমতি মানার শর্তে খোলা যাবে শপিং মলের ভিতরে থাকা দোকানপাটও৷ কিন্তু বন্ধই থাকছে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স,জিম, স্পা৷ আগের মতোই বন্ধ থাকছে স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷
