এ দিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সরকারি আধিকারিকদের দিয়েই ভ্যাকসিনেশনের কুপন বিলি করতে হবে। কোন অঞ্চলে কুপন বিলি করা হবে তা ঠিক করবেন সরকারি আধিকারিকরাই। তার জন্য আগে থেকে প্রচারও করতে হবে। মঙ্গলবারের বৈঠকে কার্যত কড়া বার্তা দেওয়া হয় বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বিশেষত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে বলেই জানা গিয়েছে।
advertisement
এদিনের বৈঠকে বেশকিছু জেলাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কেন বাড়ছে তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব । শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত হওয়ার পরেও কেন একটি জেলাতে চার জনের মৃত্যু হবে তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বৈঠকেই মুখ্যসচিব।
প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন কেন্দ্রে জমায়েত এড়ানোর জন্য জেলাগুলির টিকাকরণ কেন্দ্রে কুপন বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ভ্যাক্সিনেশন কেন্দ্রে ২০০ জনের বেশি যাতে জমায়েত না হয় সেদিকেও বিশেষ নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়। শুধু তাই নয়, মুখ্যসচিব জেলা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কুপন বিলি নিয়ে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন৷
অন্যদিকে, এ দিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব জানান রাজ্যের চলতি মাসে এক কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন রাজ্যে আসবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সেক্ষেত্রে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলগুলিতে যাতে সঠিক ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয় এ দিনের বৈঠকে। এর পাশাপাশি যত সংখ্যক ভ্যাকসিন জেলাগুলিতে যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং কোনও ভ্যাকসিন ফেলে রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। পাশাপাশি করোনা নিয়ে পজিটিভিটি রেট কেন দুই শতাংশের উপরে রয়েছে তা নিয়েও কয়েকটি জেলাকে কড়া নজর দিতে বলা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। দার্জিলিং, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগণা, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা শাসকদের বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
