আধারের ভিত্তিতে রেশন দিলেও ভাল হয়। তাহলে দেশের সর্বত্র সাধারণ মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে যাবে। একজন পরিযায়ী শ্রমিক যদি নিজের বাড়ির শহরের বাইরে থেকেও রেশন তুলতে চান, তাহলে তিনি যাতে আধার কার্ড দেখিয়ে রেশন দোকান থেকে জরুরি জিনিস কিনতে পারেন। আধার কার্ডের অন্য একটি প্রয়োগের দিকও তিনি এদিন মনে করিয়ে দেন। অভিজিৎ বলেন, মুম্বইয়ে হয়ত কোনও শ্রমিক আছেন। তিনি তো সেখানে ১০০ দিনের কাজ পাবেন না। কিন্তু যদি আধারের ভিত্তিতে এনরেগা চালু হয়, তাহলে তিনিও সেখানে সামান্য কাজ পেতে পারেন।
advertisement
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়েও এদিন সামান্য আলোচনা করেন দু’জনে। অভিজিৎ মনে করিয়ে দেন, আমেরিকা ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলি একক ব্যক্তির ক্যারিশমায় করোনা মোকাবিলার কথা ভাবলেও শেষে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই ভারত যত স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্ব দেবে, যত স্থানীয় লোকেদের কাজ করতে দেওয়া হবে, তত সুবিধা হবে লড়াই করতে। ‘স্ট্রং ম্যান’ থিয়োরিতে থাকলে সর্বনাশ হবে, সেটা ব্রাজিল ও আমেরিকাকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।