নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ২৫ বছর বয়সী মিল্লোনি দোশী কোভাক্সিনের দুটি ডোজ নেন। এরপর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Columbia University) স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে (School of International and Public Affairs) স্নাতকোত্তর শুরু করার পর তাঁকে অন্য ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর পরেই বেশ চিন্তায় পড়ে যান ওই পড়ুয়া। দুটি ভিন্ন টিকা নেওয়ার ফলে ঠিক কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউ।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসগুলি বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রস্তাব দিচ্ছে, এর মধ্যে যদি শিক্ষার্থীরা স্পুটনিক বা কোভাক্সিনের মতো WHO দ্বারা অনুমোদিত না হওয়া একটি ভ্যাকসিনও গ্রহণ করে থাকেন, তবে সমস্যা বাড়তে পারে বলে তাদের মত। তাই কলেজগুলি পড়ুয়াদের পুনরায় ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে।
আগামী অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভ্যকসিন ছাড়পত্র পায়নি। এই সমস্ত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জানিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশ বা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র না মিললে কোনও পড়ুয়াকেই ভর্তির জন্য অনুমোদন দেওয়া হবেনা।
সেন্টার্স ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centers for Disease Control and Prevention)- এর মুখাপাত্র ক্রিস্টেন নর্ডলন্ড (Kristen Nordlund) বলেন, "যেহেতু কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি বিনিময়যোগ্য নয়, তাই দুটি আলাদা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা এখনও অধ্যয়ন করা হয়নি।"
প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন-কে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়পত্র না দেওয়ায় ভারত থেকে ব্যক্তিদের বিদেশ যাওয়া নিয়ে প্রথম থেকে একটা টানাপোড়েন ছিল। তবে ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) আশা, খুব শীঘ্রই এই ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র মিলবে। এমনকি কোভ্যাক্সিন নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে বৈঠকও সেরেছে। জানা গিয়েছে, ভারত বায়োটেকের তরফে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশ কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তাই আশা করায় যায় খুব শীঘ্রই কোভ্যাক্সিন সুবজ সংকেত পাবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।