রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনার পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলি ক্রমাগত কোভিডের হটস্পট হয়ে উঠছে। রাজ্যে গত চার দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০০। আক্রান্তদের ৯৩ শতাংশই এই হটস্পটগুলির বাসিন্দা। গত তিন সপ্তাহে লাফিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনার গ্রাফ উল্লেখযোগ্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী। যা যথেষ্ট উদ্বেগের।
advertisement
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় গড়ের থেকে রাজ্যে টেস্ট কম হচ্ছে ৷ করোনায় মৃত্যুর হার যাতে ১ শতাংশের নীচে থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে ৷ কন্টেইনমেন্ট জোন ও বাফার জোনে কঠোর বিধি নিষেধ মানতে হবে ৷ কেস ম্যাপিং করে কন্টেনমেন্ট ও বাফার জোন নির্দিষ্ট করা উচিত ৷ কনেটেইনমেন্ট ও বাফার জোনে টেস্ট অবশ্যই বাড়াতে হবে ৷ নতুন আক্রান্ত চিহ্নিত হলেই নজরদারি বাড়াতে হবে ৷
একইসঙ্গে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ, ৮০% আক্রান্তের সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তার তালিকা তৈরি করতে হবে ৷ আক্রান্তের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোয়ারেন্টিন করতে হবে ৷ দৈনিক প্রতি এক লক্ষে ১৪ জনের কোভিড পরীক্ষা করতে হবে ৷ এই পরীক্ষায় আক্রান্তের হার যাতে ১০%-র বেশি না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে ৷ আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা উপসর্গহীনদেরও ICMR-এর গাইডলাইন মেনে পরীক্ষা করতে হবে ৷ মৃদু উপসর্গ থাকলেও অবশ্যই করতে হবে টেস্ট ৷ এই ব্যবস্থাতেই মৃত্যুহার ও সংক্রমণ কমিয়ে ফেলা সম্ভব ৷