টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, রায়পুর এইমস-এ জন্ম নেওয়া ওই সদ্যোজাতর মা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত৷ তাই বলে শিশুটির যত্নে কোনও ত্রুটি হচ্ছে না৷ মারণ ভাইরাসের কারণে মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছেন হাসপাতালের দুই নার্স৷ তাঁরাই ওই শিশুটিকে দুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে চব্বিশ ঘণ্টা তাঁর যাবতীয় পরিচর্যা করছেন৷
advertisement
টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, 'এই সদ্যোজাতর মা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত৷ কিন্তু মনুষ্যত্বকে বাঁচিয়ে রেখে এই দু' জন নার্স মায়ের মতোই এই শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে তার দেখভাল করছেন, তাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন৷ দেশ জুড়ে নার্সিং এবং মেডিক্যাল স্টাফদের স্যালুট৷ রাষ্ট্রসেবা সবার আগে৷'
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যেখানে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছেন, সেখানে সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেক জায়গাতেই তাঁদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে৷ কোথাও বাড়ির মালিকরা ভাড়াটে হিসেবে থাকা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘর ছেড়ে দিতে বলছেন, কোথাও আবার পাড়া, প্রতিবেশীরাই তাঁদের দূরে সরিয়ে রাখছেন৷ রায়পুরের এই ঘটনা সামনে আসার পর সেই প্রবণতা কিছুটা অন্তত কমবে, এমনটা আশা করাই যায়৷