১০৯টি নমুনা সংগ্রহ করে তার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছিল লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই ১০৭টি অতি শক্তিশালী সংক্রমণ ক্ষমতা রাখা ডেল্টা করোনা ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে। বাকি দুটিতে পাওয়া গিয়েছে করোনার কাপ্পা প্রজাতি। রুটিন রিভিউ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, 'রাজ্যে এই দুই প্রজাতিই নতুন নয়। রাজ্যে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।' দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, এর আগেও উত্তরপ্রদেশে কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল। এরইসঙ্গে কোনও আতঙ্ক না ছড়িয়ে এর চিকিৎসা সম্ভব বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে সন্ত কবীর নগরে ৬৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয় সম্প্রতি। করোনায় আক্রান্ত হয়েই ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর হয়। জানা যায়, করোনার কাপ্পা প্রজাতিতে আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। করোনার এই নয়া প্রজাতি দ্রুত মিউটেশন ঘটাতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি, চলতি বছরের ২৭ মে করোনায় আক্রান্ত হন সন্ত কবীর নগরের ওই ব্যক্তি। ১২ জুন তাঁকে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় চিকিৎসার জন্য কিন্তু ফল মেলেনি। ১৪ জুন তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণেরও কোনও 'ট্রাভেল হিস্ট্রি' নেই। ফলে করোনার কাপ্পা প্রজাতিতে তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসকদের।
যদিও ওয়ার্ল্ড হেলফ অর্গানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট কোভিড ১৯-এর কোনও নতুন প্রজাতি নয়। গত বছরের অক্টোবরে ভারতেই প্রথম এই প্রজাতির করোনা পাওয়া গিয়েছিল। এই ভ্যারিয়েন্টের পরিচয় B.1.617.1, ডেল্টা হল B.1.617.2। কাপ্পার ক্ষমতা নিয়ে এখনও খোলসা করেনি হু। তবে লমবদা (Lambda Variant) ভ্যারিয়েন্ট যেমন বিশ্বের ৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, কাপ্পাও তেমন সংক্রমণ হবে কিনা তা জানা যায়নি।
