করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত গোটা দেশ। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আতঙ্ক কাটছে না গর্ভবতী মহিলাদের। তাঁর থেকে যদি কোনওভাবে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তা নিয়েই রীতিমতো আতঙ্কিত তাঁরা। এই আতঙ্কের মধ্যেই এল আরও আতঙ্কের কারণ। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কোনওভাবেই মায়ের থেকে সন্তানের দেহে সংক্রমিত হয়। যদিও বিশেষজ্ঞরা আগে জানিয়েছিলেন, মায়ের থেকে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে সংক্রমণ ছড়ায় না।
advertisement
যদিও সেই দাবি নিজেরাই উড়িয়ে আই সি এম আর জানিয়েছে, মায়ের থেকে গর্ভস্থ সন্তান বা প্রসবের সময় সদ্যোজাতের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। মায়ের করোনা থাকলে তাই সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হতে হবে। মাকে সম্পূর্ণ আলাদা রেখে চিকিৎসা করতে হবে। সন্তান জন্মের পর তাকে আলাদা করে রাখতে হবে। কারণ, সংক্রামিত মায়ের স্পর্শেও সংক্রামিত হতে পারে শিশু। পাশাপাশি, গর্ভে থাকার সময়েও শিশুর শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যে চিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। সেই দেশের সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে যেসব মা করোনা আক্রান্ত তাঁদের থেকে ভূমিষ্ঠ সন্তানের দেহে ছড়ায়নি করোনা ভাইরাস। ইউহানের ইউনিয়ন হাসপাতালে চারজন করোনা আক্রান্ত মহিলা ভরতি ছিলেন। তাঁদের সন্তান জন্মের পর তাদের সোয়াব পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সন্তানদের মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
হাউঝং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সদ্যোজাত করোনা সংক্রমণ নিয়ে জন্মায়নি। পরপর তিনবার সেই চার মহিলার সন্তানদের সোয়াব পরীক্ষা করা হয়। তিনজনের প্রথম তিনটি পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চতুর্থ মহিলা অবশ্য পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সদ্যোজাতদের সাধারণত তিন দিন পর্যন্ত শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকতে পারে। তার মানেই যে সেই শিশুর শরীরে মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে তা নয়।