দেশে করোনায় মৃত্যুতে চিনকে টপকে গিয়েছে ভারত।। আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই এক লক্ষ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তবু হুঁশ ফিরছে না মানুষের। এখনও কলকাতার একাধিক বাজারে থিকথিক করছে ভিড়। করোনায় কাঁপছে ভারত। মহামারির মধ্যেও শহরের বাজারে নিয়ম ভাঙার ছবিই দেখা যাচ্ছে।
যত সময় যাচ্ছে, লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল হতেই সমস্যা বাড়ছে ৷ সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও ৷ কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে জুনেই আরও বেশি পরিমাণে ভারতে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ প্রতিদিনই যে সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ ইতিমধ্যেই চিনকে টপকে বিশ্বে করোনা আক্রান্তদের তালিকায় ৯ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত ৷ এভাবে চলতে থাকলে এ দেশের প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়াটাও আর অসম্ভব কিছু নয় ৷ দেশের ১৬টি শহরের ৯০২ জন নাগরিককে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল কনস্যুমার ইনসাইট ও ব্র্যান্ড অ্যানালিস্ট সংস্থা TRA Research ৷ এর আগে এপ্রিলে লকডাউন নিয়ে দেশের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল সংস্থাটি ৷ তাতে যা ফলাফল এসেছিল, তার সঙ্গে নতুন সমীক্ষার ফলাফলে বিস্তর তফাত ৷ ভারতের বিভিন্ন শহরেই লকডাউনের কার্যকারিতা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে এখন ৷
advertisement
লকডাউনের কার্যকারিতা কলকাতায় আগের তুলনায় এখন কমেছে ২০ শতাংশ ৷ এর আগে TRA Research-এর প্রকাশিত সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, লকডাউন মেনে চলার দিক থেকে দেশের বিভিন্ন শহরের তালিকায় সবার উপরে ছিল কলকাতা ৷ সেবারও দেশের ১৬টি শহরের ১০০০ জন বাসিন্দার উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য উঠে এসেছিল ৷ এই তথ্য ট্যুইট করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও ৷ কিন্তু লকডাউন ৩, ৪ কাটিয়ে এবার লকডাউন ফাইভ শুরু হওয়ার অপেক্ষা ৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে লকডাউন মেনে চলার বিষয়টা শহরবাসীর মধ্যে ধীরে ধীরে কমছে ৷ রুজি-রোজগার বা পেটের টানেই করোনা আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই এখন রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ ৷ আগামী ৮ জুনের পর রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে গেলে লকডাউনের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলার বিষয়টা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
কলকাতার অন্যতম পাইকারি বাজার কোলে মার্কেটে যেমন লকডাউন বিধির বালাই নেই। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই সেখানে বেচাকেনা চলছে। মাস্ক ছাড়াই বাজারে এসেছেন ক্রেতা-বিক্রেতা। কোলে মার্কেটে বিভিন্ন জেলা থেকে শাক-সবজি, ফল নিয়ে ব্যবসায়ীরা যান। আবার কলকাতা, শহরতলির খুচরো বিক্রেতারা সেগুলি কিনতে যান। এখানে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।
সব দেখেও নিরুত্তাপ বাজার কমিটি। তাঁরা একপ্রকার হাত তুলে দিয়েছেন।বাগমারি বাজারেও থিকথিকে ভিড়। সোশাল ডিসট্যান্সিং মানছেন না ক্রেতাবিক্রেতা।পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দুষলেন এক ক্রেতা।নিরুপায় হয়েই বেরোতে হচ্ছে, দাবি আর এক ক্রেতার।উল্টোডাঙার মুচিবাজার হোক বা বেলেঘাটার সরকার বাজার ---- ভিড় সর্বত্রই। সামাজিক দূরত্বের বিধি মানছেন না কেউ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন না মানলে সংক্রমণ বাড়বে। তা সত্বেও হুঁশ ফিরছে না মানুষের।
Photo Courtesy: PTI