TRENDING:

দিঘা থেকে দার্জিলিং, ট্যুরিজম বাঁচাতে দুর্গাপুজোয় ভরসা সেই বাঙালির পুরনো প্রেম

Last Updated:

ট্যুরিজমের লক্ষ্মী এক কথায় গায়েব।এ বছর পুজোয় কোথায় বেড়াতে যাবেন?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বহু দিন ধরে, বহু ক্রোশ দূরে, বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে, দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু...।
advertisement

কবিতার এই সব লাইন বাস্তবে বর্তমান সময়ে পূর্ণ হওয়া বেশ কঠিন, তা মানছেন পায়ের তলায় যাদের সর্ষে তাঁরা সকলেই। সহমত পোষণ করছেন ট্যুর অপারেটররাও। ফলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পুজোর আড়াই মাস বাকি থাকলেও বেড়াতে যাওয়ার বুকিং নেই। এই অবস্থায় ট্যুর অপারেটররা আশ্রয় নিয়েছেন সেই কবিতার লাইনেই, "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপরে, একটি শিশিরবিন্দু"।

advertisement

ট্যুর অপারেটরদের বক্তব্য, সারা বছর যে সংখ্যক মানুষ এই রাজ্য থেকে ভিন রাজ্য বেড়াতে যান, তাদের অনেকেই এই রাজ্যের নয়া পর্যটন স্থল নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। ফলে এই করোনা পরিস্থিতিতে যদি ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তাহলে তাদের এই রাজ্যের পর্যটনের দরজা খুলে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থা আই আর সি টি সি'র হিসেব বলছে, তাদের পুজোর বুকিং নেই বললেই চলে। অন্যান্য বার পুজোর বুকিং আগস্ট মাসেই হয়ে যায়। এবার সেই চেনা ছবি নেই। ফলে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। বিদেশ ট্রিপ নেই এবার। অনেকেই আসছেন যারা, তারা চাইছেন স্বল্প দুরত্বের নিজের রাজ্যের মধ্যে ট্রিপ করতে। তাই তারা বেছে নিচ্ছেন দার্জিলিং, ডুয়ার্স বা মন্দারমনি।

advertisement

আইআরসিটিসি-র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানিয়েছেন, "উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারত এবার একমাত্র ব্যবসা বাঁচাতে পারে। কারণ সংক্রমণ অনেক কম এখানে। যদি রাজ্য সরকার এবার এই সব জায়গার পরিকাঠামো একটু উন্নতি করে দেয় তাহলে আমাদের আর অসুবিধে থাকবে না। প্রথমত দীর্ঘ সময়ের যাত্রা নয়, দ্বিতীয়ত অনেক সস্তায় এই ট্রিপ করা সম্ভব হবে।"

advertisement

ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাদের ওয়েবসাইটে ছোট ছোট ট্রিপ নিয়ে তাঁরা আলোচনা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে বোলপুর-শান্তিনিকেতন ও ডুয়ার্সে বেশি করে ট্রিপ করাতে চাইছে তাঁরা। দেবাশিসবাবুর কথায়, "এতে লোক যথেষ্ট হবে।" অন্যদিকে, এই সময়ে নিজেদের চেনা ছকের বাইরে গিয়ে ট্রিপ সাজাচ্ছে কুন্ডু ট্রাভেলস। ইতিমধ্যেই তাদের যে সব বুকিং ছিল তার সব টাকা তারা ফেরত দিয়েছে। প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা তারা ফেরত দিয়েছে। অনেকেই অবশ্য এখনও চাইছেন ট্রিপ আবার শুরু করা হোক। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে তা যে সম্ভব নয় তা মানছে কুন্ডু ট্রাভেলস। সংস্থার কর্ণধার সৌমিত্র কুন্ডু জানাচ্ছেন, "খুব কাছের জায়গার প্ল্যান নেওয়া হচ্ছে। তবে তার জন্যে আমাদের পরিকাঠামো আগে খতিয়ে দেখতে হবে। ভালো পরিকাঠামো থাকলে কাছের ট্রিপ সম্ভব।"

advertisement

ট্যুরিজমের লক্ষ্মী এক কথায় গায়েব। ফল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অনেকেই বলছেন, রোজগার নেই, যদিও মাস গেলে তাদের কর্মীদের বেতন-সহ নানা সুবিধা মেটাতেই বহু টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কাছের ট্রিপ ধরেই কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেতে পারে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
দিঘা থেকে দার্জিলিং, ট্যুরিজম বাঁচাতে দুর্গাপুজোয় ভরসা সেই বাঙালির পুরনো প্রেম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল