কলকাতায় ফি বছরে শীত হোক বা গ্রীষ্ম-- ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মারক্যুইস স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড জমজমাট থাকত পর্যটকদের ভিড়ে। এখন এ সব রাস্তাই শুনশান। সমস্ত হোটেলের সামনে ঝুলছে তালা। মুখ থুবড়ে পড়েছে পুরো পর্যটন শিল্পই। দোকানদান রাকেশ অগরওয়াল বলেন, "পর্যটক নেই। আমাদের বেচাকেনাও নেই। বাংলাদেশিরা এখানে আসত মূলত চিকিৎসা করাতে। সে সবই তো বন্ধ। মাস ছয়েক আগে ধীরে ধীরে একটা-দু'টো করে হোটেল খুলছিল। কিন্তু এ বার সবাই ঝাঁপ ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে। কার্যত পুরো এলাকাই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।"
advertisement
ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হসপিটালিটি অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাশোসিয়েশনের সভাপতি সুরেশ পোদ্দারের কথায়, "গত বছর আনলক হওয়ার পরে পরে মনে হচ্ছিল আসতে আসতে পরিস্থিতি আবার আগের মতো হবে। পর্যটকদের যাতায়াতও আগের মতো শুরু হবে। কিন্তু দ্বিতীয়বারের করোনা হামলার পরে যে ভাবে সব কিছু বন্ধ হয়ে গেল, সেই ক্ষতি কী ভাবে যে সামাল দেওয়া যাবে, তা আমরাও বুঝে উঠতে পারছি না।" পরিস্থিতি কি আদৌ ফিরবে, তা নিয়েই এখন সন্দিহান পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, তাতে অনেকেই মালপত্তর গুটিয়ে ব্যবসা লাটে তুলে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। এক দিকে করোনায় মৃত্যুর লাইন আর অন্য দিকে লাটে উঠে যাওয়ার জোগাড় পর্যটন শিল্প। কবে যে হাল ফিরবে বা আদৌ হাল ফিরবে কি না, তা বলতে পারছেন না কেউই।
SHALINI DATTA
