আর সেই কারণেই এই অব্যবস্থা বলে অভিযোগ ফিরহাদের। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে সমস্ত রাজ্য ভ্যাকসিন মিলছে না বলে অভিযোগ করছেন তারা স্রেফ রাজনীতি করার জন্যই অভিযোগ করছেন। এই মন্তব্য মানতে নারাজ পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন এলে আমরা তা মজুত করে রাখবো কেন? যেখানে ভ্যাকসিনের জন্য মানুষের হাহাকার সেখানে এই ধরনের মন্তব্য কী করে করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী? সেই প্রশ্নও তোলেন ফিরহাদ।
advertisement
তবে যেভাবে ভ্যাকসিনের লাইনে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে তাতে এক দু দিনের মধ্যেই বেশকিছু ভ্যাকসিন মিলবে বলে আশাবাদী পুরসভা। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজেই যে পুরসভা এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে সেকথাও পুর আধিকারিকদের কথায় স্পষ্ট। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকেই ভ্যাকসিনের এই আকালের জন্য দায়ী করে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, গোটা দেশের ভ্যাকসিন নিজের কব্জায় রেখেছেন উনি। মানুষের হাহাকারের জন্য নরেন্দ্র মোদিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান ফিরহাদ।
যেভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন আমজনতা তার জন্য কেন্দ্রকেই নিশানা করেন ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, আজকে আমাদের স্টক শেষ। আশা করছি শনিবারের মধ্যে কিছুটা ভ্যাকসিনের আকাল মিটবে। তবে আগামী সোমবার থেকে যে টোকেন ব্যবস্থা চালু করছে পুরসভা তাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেকটাই কমবে বলেই মনে করছেন তিনি। কিন্তু কীভাবে মিলবে এই টোকেন? ফিরহাদ বলেন, বিকেল চারটে পর্যন্ত পুরসভার কেন্দ্রগুলিতে টিকা কর্মসূচি চলছে। এরপর থেকেই সন্ধে ছটা পর্যন্ত পরের দিনের যারা টিকা গ্রহীতা সেই নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে টোকেন দেওয়া হবে। এতে রাতভর আর মানুষকে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিয়ে অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।
দীর্ঘক্ষণ সকাল থেকে ভ্যাকসিন কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করার প্রয়োজনও হবে না। আগের দিন যাঁরা টোকেন পাবেন তাঁরাই শুধুমাত্র পরের দিন নির্দিষ্ট সময়ে টিকাগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছবেন। ফিরহাদের কথায়, 'এতে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তিও কমবে। বিকেল চারটে থেকে ছটা পর্যন্ত পরের দিনের জন্য যে সমস্ত মানুষজন টিকা নিতে ইচ্ছুক তাঁদের সঙ্গে করে আধার কার্ডের জেরক্স কপি এবং অরিজিনাল কপি আনতে হবে। প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখে আধার কার্ডের জেরক্স কপির পেছনে পুরসভার তরফে সিল ও স্বাক্ষর করে দেওয়া হবে। এটাই টোকেন হিসেবে বিবেচিত হবে। আধার কার্ডের সেই কাগজ দেখালেই মিলবে টিকা। অন্য ধরনের টোকেনের ব্যবস্থা করা হলে সে ক্ষেত্রে কালোবাজারির সম্ভাবনা ছিল। তাই আধার কার্ডের জেরক্স কপিকেই টোকেন করার ভাবনা আমাদের'।
VENKATESWAR LAHIRI
