#শিলিগুড়ি: কাল থেকে ফের লকডাউন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে! টানা ৫ দিন বন্ধ থাকবে মার্কেটের প্রায় সাড়ে তিন হাজার দোকান। মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত। তাঁদের সংস্পর্শেও এসেছেন অনেকে। আতঙ্কিত অন্য ব্যবসায়ী থেকে দোকানের কর্মীরাও। আর তাই গতকাল রাতে বৈঠক করে বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে বুধ থেকে রবি পর্যন্ত টানা ৫ দিন কড়া লকডাউন করা হবে। এতে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে ব্যবসায়ী, কর্মী থেকে ক্রেতাদেরও।
advertisement
লকডাউনের পর মার্কেট খুুললেও বেচাকেনা নেই বললেই চলে। বহু দোকানির কোনও দিনে হয়তো কোনও ব্যবসাই হয়নি। বিদ্যুতের বিল, মেইনটেনেন্স, কর্মীদের বেতন, দোকান ভাড়া সবই তো দিতে হবে। কিন্তু ব্যবসার যা হাল গিয়ে দাঁড়িয়েছিল তাতে বাড়ির সংসার খরচ দূরে থাক, বিদ্যুতের বিল মেটানোও কঠিন। যে বিধান মার্কেটে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তিল ধারণের জায়গা হত না, সেই মার্কেটে কিনা ব্যবসা নেই। দিনের শেষে খালি হাতে ঘরে ফিরতে হয়েছে অনেক ব্যবসায়ীকে। তবু দোকান খুলেছিল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে ব্যবসা এই আশায়! এ বারে উলটো ছবি। একে ব্যবসা নেই, তার উপর করোনার থাবা!
এক এক করে মারণ করোনার থাবায় কাবু ব্যবসায়ীরা। গতকালও এক ব্যবসায়ী নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আর তাই কাল থেকে কড়া লকডাউন করা হবে মার্কেটে, জানালেন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপী সাহা। তিনি জানান, করোনা, লকডাউনে ব্যবসায় মন্দা। সেই লেনদেন আর নেই। তার চেয়ে মার্কেট বন্ধ থাক। সোমবার খোলা হবে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হবে। প্রয়োজনে ফের আলোচনায় বসবে সমিতি। গতকালই মার্কেটে স্যানিটাইজেশন করে দমকল কর্মীরা। অসিত দে নামে এক ব্যবসায়ী জানান, দিন শেষে আয় হত বড় জোর ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। উলটে করোনা থাবা। নিজেদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত। শহরবাসীরও স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।
প্রসঙ্গত মার্কেট খোলার আগে ঘোষণা করা হয়েছিল কোভিড প্রোটোকল মানা হবে। প্রতিনিয়ত মার্কেটে কান পাতলেই শোনা যায় সতর্কবিধির কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে উল্টো ছবি। কোভিড প্রোটোকলের বালাই নেই। আজ থেকে বন্ধ হয়েছে কালিবাড়ি ও নিউ সিনেমা হল রোডের যাবতীয় দোকান।