লিগ, নকআউট মিলিয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডিভিশনে প্রায় সব টুর্নামেন্টই মাঝপথে বন্ধ হয়ে রয়েছে। লকডাউনের জেরে কবে আবার ক্রিকেট শুরু হবে তা কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না। জুনের শেষ পর্যন্ত সিএবি ক্লাব ক্রিকেট মরশুম চলে। তারপর বর্ষা শুরু হয়ে গেলে আর ক্রিকেট হওয়া সম্ভব নয়। এর মধ্যেই লোকজন কবে উঠবে কেউ জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানান, "কোনওভাবেই এই মরশুম শেষ করা সম্ভব নয়। লকডাউন উঠলেই তো আর ক্রিকেট শুরু করা সম্ভব।
advertisement
মাঠগুলো একমাস ধরে পড়ে রয়েছে। কোনও রকম কাজ করতে দেওয়া হয়নি মালীদের। ক্রিকেট খেলার পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কয়েক দিন সময় লাগবে। নিয়ম অনুযায়ী বেশির ভাগ মাঠ ফুটবলের জন্য আইএফএর হাতে চলে গেছে। সেই মাঠগুলোতে আদৌ কি ক্রিকেট করা সম্ভব সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। যে সংখ্যক খেলা বাকি রয়েছে. তা সম্পূর্ণ করা কয়েকদিনের মধ্যে সম্ভব নয়। ক্রিকেটারদেরও প্রস্তুতি প্রয়োজন। এই সব মিলিয়ে এই মরসুম শুরু করা সম্ভব না বলেই মনে করছি আমরা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সৌরভ ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার করার পরেই নেওয়া হবে।"
তবে সিএবি প্রেসিডেন্ট জানান, "এই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। লকডাউন না উঠলে ক্রিকেট কি করে সম্ভব? দেখি সরকারি নির্দেশিকা কি দেওয়া হয়। সব নিয়ম মেনেই আমরা চলব। আমরা ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের পাশে আছি। তবে সবার আগেই কঠিন লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।"
ইতিমধ্যেই ময়দান জুড়ে অন্য জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকটি ক্লাব তারা সিএবির কাছে দাবি করেছেন চলতি মরশুমের চুক্তিতেই আগামী মরশুম চলুক। সে ক্ষেত্রে কোনও দল বদল হবে না। অর্ধ সমাপ্ত টুর্নামেন্টগুলো শেষ করা হবে। তবে এরকম করা হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন ক্রিকেটাররা। এক বছরের চুক্তিতে আরও অতিরিক্ত একটি বছর খেলতে হবে। সিএবি যুগ্ম-সচিব দেবব্রত দাস বলেন," এরকম প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি। ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের স্বার্থ দেখাই আমাদের কাজ। কোনও অযৌক্তিক বিষয় মানা হবে না।"
Eeron Roy Barman