তিনি একই সঙ্গে দেশের চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের কথাও বলেছেন তাঁর মন্তব্যে। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের দেশের চিকিৎসক ও নার্সেরা সারা পৃথিবীতে সমাদৃত হচ্ছেন। তাঁরা সেনার পোষাক না পরেও এক একজন যোদ্ধা। হতে পারে করোনা ভাইরাস এক অদৃশ্য শত্রু কিন্তু আমাদের স্বাস্থকর্মীরাও অপরাজেয়। এদিন স্বাস্থ্য পরিষেবা একাধিক পরিকল্পনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, মানবসম্পদ নির্ভর উন্নয়নের দিকে এখন নজর দেওয়া দরকার। আমরা সাধারণত চারটি স্তম্ভের উপর কাজ করছি। সুরক্ষানির্ভর স্বাস্থ্যরক্ষা, সহজলভ্য স্বাস্থ্যরক্ষা, যথেষ্ট জোগান ও একেবারে মিশনের মতো সমস্ত বিষয় কার্যকর করা। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্যারামেডিকেল অফিসারদের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য বিশেষ আইন পাশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’
advertisement
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক সময়ে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভুল ধারণার কারণেই মানুষের হিংসার মুখে পড়েছেন। অনেককে মার খেতে হয়েছে। এদিন সেই নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘সাধারণের মানসিকতার জন্যই স্বাস্থ্যকর্মীরা, যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করছেন, তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। আমি এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, স্বাস্থকর্মীদের ওপর কোনওরকম হিংসার ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এই ভাষণের পরেই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দ্বিতীয় মোদি সরকারের একবছর পূর্তির মাথায় মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মধ্যে উঠে আসতে পারে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা। এছাড়া বৈঠকে চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, দেশজুড়ে এখন আনলক ১ চলছে। সেখানে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির নানারকম পরিকল্পনা নেওয়া হবে। জিডিপির পতন থেকে বেকারত্ব, সব বিষয়েই মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।