কোয়েম্বাটুরের ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ত্রিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আব্বাস। ৩১ বছর বয়সি এই ব্যবসায়ী করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন রবিবার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরেই আমি জেলা প্রশাসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আমি যে কোনও সময়ে প্লাজমা অনুদানের জন্যে তৈরি। শুধু আমি নই আমার সঙ্গেই সু্স্থ হয়ে উঠেছেন এমন অনেকের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। প্রত্যেকে তৈরি এই সামান্য সাহায্যের জন্যে।"
advertisement
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে এখনও কোনও প্রতিষেধক হাতে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে প্লাজমা থেরাপির পক্ষে সওয়াল করেন বহু বিশেষজ্ঞই। তাঁদের বক্তব্য যদি আরোগ্য লাভ করা রোগীর শরীরের প্লাজমা আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানো হয়, ফল মিললেও মিলতে পারে। করোনার আঁতুড়ঘর উহানেও কয়েকজন রোগীর শরীরে জমাট বাঁধা প্লাজমা প্রবেশ করানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে প্লামজা ব্যাবহৃত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতালে।ভারতের বহু জায়গাতেই শুরু হয়েছে প্লাজমা পরীক্ষার তোরজোর। ইতিমধ্যে দিল্লির এক হাসপাতালে এক আক্রান্তের শরীরে প্লাজমা প্রবেশ করানোর পরে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন। দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠেছেন তিনি।