স্যানিটাইজার কিম্বা থার্মাল স্ক্রিনিংই শুধু নয়, যারা হাসপাতালে প্রবেশ করবেন প্রত্যেকের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফর্মে শারীরিক অবস্থার যাবতীয় তথ্য, নাম এবং ফোন নম্বর লিখে তারপর হাসপাতালে প্রবেশ করার অনুমতি দিতে হবে। করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই নির্দিষ্ট ফর্মে সেই বিষয়টিও লিখতে হবে। করোনা উপসর্গ থাকলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতালের কাছে কারও শরীরে করোনা উপসর্গের হদিস পাওয়া যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শহরের বাইপাস লাগোয়া বেশ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা আসছেন তাঁদের প্রত্যেককে হাসপাতালে ঢোকার আগেই হাসপাতাল কর্মীরা মুখে মাস্ক পড়ে এবং বিশেষ ধরনের পোশাক পরে প্রত্যেককে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার পাশাপাশি থার্মাল স্ক্রিনিংয়েরও ব্যবস্থা করেছে।
advertisement
লাইন দিয়ে প্রত্যেকেই নিয়ম পালন করেই হাসপাতালে অন্দরে প্রবেশ করছেন অনেক বেসরকারি হাসপাতালে আবার দেখা গেল, হাসপাতালে ঢোকার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজেসন, নির্দিষ্ট যন্ত্রের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার পাশাপাশি ছাপানো ফর্মে যে সমস্ত মানুষ হাসপাতালে প্রবেশ করছেন তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থার যাবতীয় তথ্য নাম, ফোন অথবা মোবাইল নম্বর লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট ওই ফর্মে কোনও নাগরিকের করোনা উপসর্গ থাকলে তাও উল্লেখ করতে হচ্ছে। সম্প্রতি ওই নাগরিক বিদেশ ফেরত কিনা? করোনা প্রভাবিত কোনও দেশের কারও সঙ্গে সংস্পর্শে হালে এসেছেন কিনা? এই সমস্ত বিষয়ও 'self declaration form' এ উল্লেখ করতে হচ্ছে।
কোনও কোনও হাসপাতালে তো আবার দেখা মিলছে যে সমস্ত রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে অথবা ভর্তি থাকা রোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁদের প্রত্যেককে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে শারীরিক পরীক্ষা করার পরে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের ভেতরে যাওয়ার জন্য। ভর্তি থাকা রোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা রোগীর আত্মীয়দের প্রবেশও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আবার অনেক হাসপাতালে দেখা মিলছে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সতর্কতামূলক পোস্টারের। সব মিলিয়ে একদিকে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর, অন্যদিকে শহরের হাসপাতালগুলি- কেউই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ।
VENKATESWAR LAHIRI