তসলিমা এদিন ট্যুইটারে লিখেছেন, "বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য করোনা পজিটিভ হয়েছেন। উনি যদিও আমাকে বাংলা থেকে তাড়িয়েছিলেন, কিন্তু আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।"
সময়টা ২০০৭ সাল। দ্বিতীয় বারের জন্য় মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে তসলিমা পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় বসবাস শুরু করেছিলেন অনেকটা আগেই। অবশ্য বাম সরকারের সঙ্গে বনিবানা তাঁর প্রথম থেকেই হয়নি। তাঁর লেখা দিখণ্ডিত বাম সরকার নিষিদ্ধ করার পরে সেটি পুনঃপ্রকাশ করার অনুমতি তসলিমা জোগাড় করেন হাইকোর্ট থেকে। কিন্তু বিবাদ-তিক্ততা চরমে পৌঁছয় হায়দরাবাদের একটি মৌলবাদী সংগঠন তাঁর উপর আঘাত হানলে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তাঁকে কার্যত কলকাতা ছাড়তে বাধ্যই করে রাজ্য সরকার।
তারপর হুগলি নদীতে বহু জল গড়িয়েছে। বহু বছর ভিনরাজ্যের বাসিন্দা তসলিমা। যদিও তাঁর মন পড়ে থাকে কলকাতায়। এদিকে বামেরা আজ বিধানসভায় অস্তিত্বটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন। ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাসলিমার প্রতি সদয় হননি। ফলে তাসলিআর গলায় যে অভিযোগ অভিমানের মেঘ ভীড় করবে, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও মীরা ভট্টাচার্য কোভিড আক্রান্ত হন। দুজনের অবস্থাই আপাতত স্থিতিশীল, কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু ক্রনিক সিওপিডির রোগী, তাই তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা রয়েছে। ডিসেম্বর মাসেই দিন ছয়েক তাঁকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল।
