এদিন আদালতে আইনক্সের আইনজীবী জানান, তাঁদের পানিপথের একটি সংস্থার কাছ থেকে ৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন নিয়ে যেতে বলা হয়৷ একইসঙ্গে আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, এটা কি তাঁদের কাজ? তাঁরা অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহ করেন ঠিকই, কিন্তু তা বলে অন্য একটি সংস্থার কাছ থেকে অক্সিজেন এনে তা সরবরাহের দায়িত্ব কেন নেবেন তাঁরা?
advertisement
পাশাপাশি, দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কেজরিওয়াল সরকারের যে টানাপোড়েন, তা নিয়েও ক্ষুব্ধ আইনক্স কর্তৃপক্ষ ৷ তাদের অভিযোগ, এই বিষয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের নীতি ও নির্দেশ পরস্পরবিরোধী৷ যার মধ্যে সমতা রাখতে গিয়ে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হয় আইনক্সকে৷ সংস্থার প্রধান সিদ্ধার্থ জৈন এই প্রসঙ্গে আদালতে জানান, ‘‘গতকাল দিল্লি সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল ৷ তাতে বলা হয়, রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে ১২৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে ৷ এদিকে, গতকালই আরও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র ৷ তাতে বলা হয়েছে, দিল্লির জন্য ৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে ৷ এবার বলুন আমরা কী করব ? দেশের ৮০০ টি হাসপাতালে আমরা অক্সিজেন সরবরাহ করছি ৷ অথচ শুধু দিল্লির হাসপাতালগুলোই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে কেন? ’’
সিদ্ধার্থ জৈন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দিল্লির জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন ৷ তার মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৩০০ মেট্রিক টন ৷ হাসপাতালগুলি বারবার আমাদের জরুরি বার্তা পাঠাচ্ছে ৷ গত সাতদিন আমরা ঘুমোতে পারিনি ৷ দয়া করে এই সমস্য়া মেটান ৷ আমাদের বলে দিন, কোন হাসপাতালে কতটা পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করব আমরা ৷’’এসব ছাড়়াও দেশের নানা প্রান্তে তাদের অক্সিজেনবোঝাই গাড়ি আটকানোর এবং সেগুলোর রুট বদলে দেওয়ারও অভিযোগ করেছে আইনক্স কর্তৃপক্ষ ৷