করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশের বিভিন্ন অংশে চলছে লকাডাউন। নিজেদের গৃহবন্দি করে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া কাজের ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। অফিস যাওয়ার ঝক্কি না থাকলেও, দিন-রাত এইভাবে হাঁটা-চলা ও শরীরচর্চা না করাই হয়ে উঠেছে একমাত্র কাল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে হজমজনিত নানান সমস্যা নিয়ে আসছেন বহু রোগী।
advertisement
স্বাস্থ্যকর হজম পদ্ধতি নির্ভর করে মূলত স্বাস্থ্যকর ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম, ভাল ঘুম ইত্যাদি একাধিক বিষয়ের উপরে। গত এক বছর ধরে, দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের বাড়ির গন্ডির বাইরে বেরোতে পারছেন না। সেই সঙ্গে লকডাউনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন লোভনীয় খাবারের রেসিপি দেখে নতুন নতুন রান্নার প্রতি আগ্রহও বাড়ছে বহু মানুষের।
এছাড়াও অতিরিক্ত ভাবে বাড়ছে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা। রেস্তোঁরাগুলি বন্ধ হয়ে গেলেও হোম ডেলিভারি চলছে রমরমিয়ে। অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত এই খাবার গ্রহণ করলেও সঠিক পরিমাণ বিশ্রাম ও ঘুম না হওয়ায় বাড়ছে হজমের সমস্যা।
মুম্বই Saifee হাসপাতালের Laparoscopic এবং Bariatric সার্জেন্ট অপর্ণা গোভিল ভাস্কর (Aparna Govil Bhasker) বলেছেন, “এখন জানা গিয়েছে যে কোভিড ১৯ সংক্রমণ গ্যাস্ট্রো-অন্ত্রের উপস্থাপনাকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। যা খিদে না পাওয়া, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা হ্রাসের আকারে গ্যাস্ট্রো-অন্ত্রের উপস্থাপনা হতে পারে। যা কম খিদে পাওয়া বমিভাব, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা আকার নেয়। এর পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের পরবর্তী সময় বহুল সংখ্যক রোগী ফুসফুস ফলে যাওয়া, বায়বীয়তা, অ্যাসিডিটি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি একাধিক হজমের সমস্যা নিয়ে আসেন। কোভিড ১৯-এর চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরণের ওষুধের সংমিশ্রণ রয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকস, অ্যান্টিভাইরালস, অ্যান্টিফাঙ্গালস, অ্যান্টিম্যালারিয়ালস এবং স্টেরয়েডগুলি অনেক রোগীর ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়।” তাঁর কথায় এর ফলে হজমের নানা সমস্যায় পড়ে থাকেন অনেকে।
এই হজমের সমস্যা দূর করতে আপনাকে আরও যত্নবান হতে হবে। “নিয়মিত রুটিন মেনে চলুন। এক্ষেত্রে ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৈলাক্ত এবং অত্যধিক মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনি থেকে দূরে থাকুন। খুব ঘন ঘন বাইরে থেকে খাবার অর্ডার না করার চেষ্টা করুন। সময় মতো খাবেন এবং খুব গভীর রাতে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ডায়েটে নিয়মিত স্যালাড, ফল এবং দই রাখুন। অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন। দিনে এক থেকে দু’কাপ চা এবং কফি গ্রহণ করতে পারেন। সুষম খাওয়ার অভ্যাস করুন। সতর্কতা অবলম্বন করে খাওয়ার অভ্যাস করুন।"
