পথে বেসরকারি বাস অমিল। সরকারি বাসই এখন প্রধান ভরসা। কিন্তু সরকারি বাসে নির্ধারিত কুড়ি জনের বেশি যাত্রী না নেওয়ার নির্দেশিকায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে মাঝপথে অপেক্ষা করা যাত্রীদের অবস্থা বেশি শোচনীয়। নির্দিষ্ট রুটের যেখান থেকে বাস ছাড়ছে সেখানেই কুড়িজন যাত্রী হয়ে যাওয়ায় বাসে ওঠা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মাঝ পথে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই বাস স্টপেজগুলিতে অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা।
advertisement
যাত্রীদের বক্তব্য, স্টপেজ গুলিতে পুলিশের নজরদারি না থাকায় যত্রতত্র মানুষজন দাঁড়িয়ে পড়ছে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কোনও বাস এলেই একেবারে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে বাসে ওঠার জন্য। আর তখনই সামাজিক দূরত্ব পালন না করার ছবিটা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে থাকার পর বাসের দেখা মিললেও নির্দিষ্ট যাত্রীসংখ্যা পূরণ হওয়ার কারণে অনেক বাসই নির্দিষ্ট স্টপেজে দাঁড়াচ্ছেও না। ভুক্তভোগী যাত্রীদের কথায়, 'শুধু সরকারি বাস চালিয়েই সমস্যার সমাধান হবে না। বেসরকারি বাসকেও পথে নামাতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। নচেৎ এই যাত্রী হয়রানি চলতেই থাকবে' ।
এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবার তিনশোর গণ্ডি ছাড়াল এই রাজ্যে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যদফতরের বুলেটিনে প্রকাশ গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৪ জন।ফলে একদিকে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে । তখন বাজারহাট হোক কিম্বা কলকাতা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের বাসস্টপেজ গুলিতে আজও অসচেতনতার ছবির কোনও বদল নজরে এল না।
VENKATESWAR LAHIRI