যেদিকে গড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতি, তাই আগাম বেশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা। অত্যাধুনিক স্প্রে মেশিন আনা হচ্ছে। প্রথম দফায় ১০টি মেশিন আসছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট কীটনাশক দিয়ে পরিস্কার করা হবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়িও স্প্রে করা হবে। জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে। শিলিগুড়িতে খোলা হল করোনা ভাইরাস মেয়র রিলিফ ফাণ্ড। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য তার বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন। মেয়র প্রতিটি কাউন্সিলরের কাছে আর্জি জানিয়েছেন সকলেই যেন এই রিলিফ ফাণ্ডে ব্যক্তিগতভাবে ১০ হাজার টাকা করে দেন। এই সময়ে বিভিন্ন কাজে বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে পুরসভার। তাই রাজ্যের কাছে আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র। আজ পুরসভায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন মেয়র পারিষদেরা। সেখানেই ঠিক হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরী পুরসভা। পুরসভার জরুরী পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। এজন্যে সাফাই কর্মীদের হ্যাণ্ড গ্লাভস, মাস্ক বিলি করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে অনেকে বিদেশ ফেরতই নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি। এই ধরনের অভিযোগ প্রায় প্রতিদিনই উঠছে শহরে। যা নিয়ে আতঙ্কিত শহরবাসী। প্রতিবেশীরা পুরসভার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। এমনকী উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে করোনার শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য ঘোষণা করার দাবী রাজ্যের কাছে জানিয়েছেন মেয়র। অন্য রোগীদের বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করানোর আর্জি মেয়রের। করোনা ভাইরাসকে হারাতে বিশেষ উদ্যোগ শিলিগুড়ি পুরসভার। পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকেও করোনার চিকিৎসার জন্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
PARTHA PRATIM SARKAR