TRENDING:

দিনে ৩বার ইনসুলিন নিতে হয়! কিন্তু বাজারে এখন তা অমিল হওয়ায় চিন্তায় খোদ খাদ্যমন্ত্রী

Last Updated:

তিনি ভীষণ রকম সাবধানীও বটে। এরই মধ্যে তার চিন্তা বাড়িয়েছে বাজারে যথাযথ ভাবে ইনসুলিনের অমিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: তিনি হাই সুগারের পেশেন্ট। তিনি খাদ্যরসিক। তিনি খাওয়াতে ভালোবাসেন। তিনিই আবার খাদ্যমন্ত্রী। এহেন মন্ত্রী মশাই করোনা নিয়ে চিন্তিত। শুধু চিন্তিত নয়। তিনি ভীষণ রকম সাবধানীও বটে। এরই মধ্যে তার চিন্তা বাড়িয়েছে বাজারে যথাযথ ভাবে ইনসুলিনের অমিল। রাজনৈতিক মহলে যাদের আনাগোনা তারা প্রত্যেকেই সুখ্যাতি করেন খাদ্যমন্ত্রীর খাবার প্রীতির। যদিও মধুমেহ হওয়ার কারণে মিষ্টি থেকে নরম তুলতুলে মাটন ভুলতে হয়েছে খাদ্যমন্ত্রীকে। যদিও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির খাবারের ঘ্রাণ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। কিন্তু মন্ত্রী মশাইকেও যথেষ্ট সাবধান থাকতে হয় এখন। কারণ সুগারের প্রকোপ।
advertisement

দিনে তিনবার ইনসুলিন নিতে হয় জ্যোতিপ্রিয় বাবুকে। সকালে ব্রেকফাস্টের আগে বা পরে একবার। তখন মাত্রা থাকে প্রায় ২২ । এরপর দুপুরের খাবার মন্ত্রী সারেন প্রায় আড়াইটে থেকে তিনটে নাগাদ। তারপরে আরও একবার নিতে হয় ইনসুলিন। তখন মাত্রা থাকে ১২ প্রায়। রাতে খাবার পর আর একবার৷ তখন মাত্রা থাকে ১০ এর কাছাকাছি। মন্ত্রী বলছেন, "আমার মতো হাই সুগারের রোগী খুব কম আছেন। আমাকে নিয়ম মেনেই তাই ইনসুলিন নিতে হয়। খাবারের ৫ মিনিট আগে বা পরে এটা চলে।" মন্ত্রীর কথার রেশ ধরেই তার এক প্রিয়পাত্র জানাচ্ছেন, "দাদা একবার বিধানসভায় খাবার চেয়েছেন। খাবার এসে যাবে ধরে নিয়েই ইনসুলিন নিয়েছেন। কিন্তু তা আর ঠিক সময়ে আসেনি। ফলে দাদা ক্যান্টিনে থাকা একটা ঠান্ডা বেগুনি মুখে দিয়েই দৌড় লাগিয়েছেন।"

advertisement

এহেন মন্ত্রী করোনা সংক্রমণের ভয়ে তাই বেশ সাবধানে থাকছেন। দফতরে তার ঘরে ঢোকা নিষেধ প্রায়। খুব প্রয়োজন না হলে কাউকে আসতে দিচ্ছেন না৷ সবিনয়ে অনুরোধ করছেন দূরে থাকো বলে। তবে ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপ অনলাইন তিনি থাকছেন জবাবও দিচ্ছেন। তাকে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে বাজারে ইনসুলিনের অভাব। তিনি নিজে যদিও ইনসুলিনের অভাব যাতে না হয় তার জন্যে চিকিৎসক মহলে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

তার কথায়, "আমি যে ধরণের ইনসুলিন ব্যবহার করি তা সাধারণত রাজস্থান, মহারাষ্ট্র  থেকে আসে। কিন্তু এখন বোধহয় পরিবহণের সমস্যার জন্যে আসতে পারছে না ইনসুলিন।" তবে তিনি আশা রাখছেন সমস্যার সমাধান হবেই। মন্ত্রীর সুগার থাকায় তাকে সাবধান  থাকতে হচ্ছে চোখ নিয়েও। ইতিমধ্যে হায়দ্রাবাদে তার বেশ কয়েকবার চোখের অপারেশন হয়েছে। সেই কারণে বাড়তি সাবধানী তিনি। সুস্থ থাকতে ও রাখতে স্যানিটাইজ করা হয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতর। গরমে চামড়ার চটি ছেড়ে সেখানেই এখন বুট জুতো পরে অফিস আসছেন খাদ্যমন্ত্রী।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
দিনে ৩বার ইনসুলিন নিতে হয়! কিন্তু বাজারে এখন তা অমিল হওয়ায় চিন্তায় খোদ খাদ্যমন্ত্রী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল