দিনে তিনবার ইনসুলিন নিতে হয় জ্যোতিপ্রিয় বাবুকে। সকালে ব্রেকফাস্টের আগে বা পরে একবার। তখন মাত্রা থাকে প্রায় ২২ । এরপর দুপুরের খাবার মন্ত্রী সারেন প্রায় আড়াইটে থেকে তিনটে নাগাদ। তারপরে আরও একবার নিতে হয় ইনসুলিন। তখন মাত্রা থাকে ১২ প্রায়। রাতে খাবার পর আর একবার৷ তখন মাত্রা থাকে ১০ এর কাছাকাছি। মন্ত্রী বলছেন, "আমার মতো হাই সুগারের রোগী খুব কম আছেন। আমাকে নিয়ম মেনেই তাই ইনসুলিন নিতে হয়। খাবারের ৫ মিনিট আগে বা পরে এটা চলে।" মন্ত্রীর কথার রেশ ধরেই তার এক প্রিয়পাত্র জানাচ্ছেন, "দাদা একবার বিধানসভায় খাবার চেয়েছেন। খাবার এসে যাবে ধরে নিয়েই ইনসুলিন নিয়েছেন। কিন্তু তা আর ঠিক সময়ে আসেনি। ফলে দাদা ক্যান্টিনে থাকা একটা ঠান্ডা বেগুনি মুখে দিয়েই দৌড় লাগিয়েছেন।"
advertisement
এহেন মন্ত্রী করোনা সংক্রমণের ভয়ে তাই বেশ সাবধানে থাকছেন। দফতরে তার ঘরে ঢোকা নিষেধ প্রায়। খুব প্রয়োজন না হলে কাউকে আসতে দিচ্ছেন না৷ সবিনয়ে অনুরোধ করছেন দূরে থাকো বলে। তবে ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপ অনলাইন তিনি থাকছেন জবাবও দিচ্ছেন। তাকে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে বাজারে ইনসুলিনের অভাব। তিনি নিজে যদিও ইনসুলিনের অভাব যাতে না হয় তার জন্যে চিকিৎসক মহলে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তার কথায়, "আমি যে ধরণের ইনসুলিন ব্যবহার করি তা সাধারণত রাজস্থান, মহারাষ্ট্র থেকে আসে। কিন্তু এখন বোধহয় পরিবহণের সমস্যার জন্যে আসতে পারছে না ইনসুলিন।" তবে তিনি আশা রাখছেন সমস্যার সমাধান হবেই। মন্ত্রীর সুগার থাকায় তাকে সাবধান থাকতে হচ্ছে চোখ নিয়েও। ইতিমধ্যে হায়দ্রাবাদে তার বেশ কয়েকবার চোখের অপারেশন হয়েছে। সেই কারণে বাড়তি সাবধানী তিনি। সুস্থ থাকতে ও রাখতে স্যানিটাইজ করা হয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতর। গরমে চামড়ার চটি ছেড়ে সেখানেই এখন বুট জুতো পরে অফিস আসছেন খাদ্যমন্ত্রী।