TRENDING:

সমস্যায় জর্জরিত সিরাম, ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার বহু দেশে

Last Updated:

কোভ্যাক্স কর্মসূচির অধীনে মোট ২০ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করার কথা ছিল সিরাম ইন্সস্টিটিউটের (Serum Institute of India)৷ কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ৩ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পেরেছে তারা৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#দিল্লি: বাংলাদেশ, নেপাল, রাওয়ান্ডা সহ বিশ্বের একাধিক দেশে এই মুহূর্তে কার্যত থমকে গিয়েছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি৷ কারণ এই দেশগুলিতে টিকার বিপুল অভাব দেখা দিয়েছে৷ আর এই টিকার ঘাটতির সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের সিরাম ইন্সস্টিটিউটের৷
advertisement

ব্লুমবার্গ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা সরবরাহের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে কোভ্যাক্স কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল, সেখানে অন্যতম শীর্ষ সরবরাহকারী হিসেবে নাম ছিল সিরাম ইন্সস্টিটিউটের৷ কিন্তু টিকা সরবরাহের জন্য দায়বদ্ধ থাকলেও একের পর এক সমস্যার মুখে পড়ে বরাত অনুযায়ী টিকা সরবরাহ করতে পারছে না বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা৷ কারণ কারখানায় ভয়াবহ আগুন থেকে শুরু করে টিকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মতো একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে সিরামকে৷

advertisement

কোভ্যাক্স কর্মসূচির অধীনে মোট ২০ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করার কথা ছিল সিরাম ইন্সস্টিটিউটের৷ কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ৩ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পেরেছে তারা৷ এই কর্মসূচিতে মোট ৯২টি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা ছিল৷ কিন্তু সিরামের এই ব্যর্থতা থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টিকাকরণের জন্য একটি সংস্থার উপরে বেশি নির্ভরশীল হওয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে৷

advertisement

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলিতে টিকাকরণের গতি কমে গেলে ভাইরাসের আরও নতুন নতুন রূপ সামনে আসবে৷ এবং অতিমারিও দির্ঘায়িত হবে৷ ভ্যাকসিনের ঘাটতি এই সমস্যাকে আরও প্রকট করে তুলেছে৷ অন্যন্য ভ্যাকসিন সরবরাহকারী সংস্থাগুলিও নিজেদের লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়েছে৷ কিন্তু সিরামের উপরে অনেক বেশি নির্ভরশীল ছিল কোভ্যাক্স কর্মসূচি৷ ফলে সিরাম প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা রপ্তানী করতে না পারায়, অন্যান্য উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলিতে তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এপ্রিল মাস থেকেই টিকার রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে সিরাম৷ সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালা গত বছর জানিয়েছিলেন, ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশগুলিতে প্রায় ৪০ কোটি টিকা সরবরাহ করতে পারবে তাঁর সংস্থা৷ কিন্তু চলতি বছরে তিনি জানিয়ে দেন সরকারি লাইসেন্স নিয়ে জটিলতা এবং টিকা মজুত করার পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে তাঁরা মাত্র ৭ কোটি টিকা উৎপাদন করতে পেরেছেন৷ যে দেশগুলি টিকার জন্য সিরামের উপরে নির্ভর করছিল, তারা এখন বাধ্য হয়েই অন্য উৎপাদনকারীদের থেকে টিকা নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ কারণ বর্তমানে ভারতে যা পরিস্থিতি, তাতে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলবে, এমন আশা ক্ষীণ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
সমস্যায় জর্জরিত সিরাম, ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার বহু দেশে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল