দেশজুড়ে এখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে সব রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে জনতা কারফিউ। এদিনের কারফিউ নিয়ে আগে থেকেই নিজেদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল বেলা জনতা কার্ফুর সেই পরিকল্পনা পুরো মাত্রায় কার্যকর হতে দেখা গেল শিয়ালদহ স্টেশনে।
advertisement
এদিন সকালবেলা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কোনও এক্সপ্রেস বা মেল ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যে দূরপাল্লা ট্রেন গুলো আগে থেকেই রওনা হয়েছিল সেগুলো সকালবেলা শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছায়। একইসঙ্গে প্রতি রবিবার শিয়ালদহ স্টেশনের দুই শাখা মিলে মোট ৭৮৮টি লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। এই দিন সেই সংখ্যাটি ৫০০-তে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে কোন সূচী মেনে চলছে না কোনও ট্রেন।
পাশাপাশি মিনিটে মিনিটে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন রকম সরকারি নির্দেশিকা। স্টেশনের মধ্যে কোনও রকম জমায়েত হতে দিচ্ছে না রেল পুলিশ। তার জন্য শিয়ালদহ মেন শাখা প্রধান ফটকের তিনটি দরজার মধ্যে দুটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে আজ। তারপরও বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে স্টেশনের মধ্যে। অপর দিকে অনেকেই দূরপাল্লার ট্রেন থেকে নেমে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য কোনও যানবাহন পাচ্ছেন না।
পরিবার নিয়ে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন ঠাকুরপুকুর আশুতোষ রায়। এদিন সকালে ট্রেন থেকে নেমে পড়েছেন বিপাকে। তিনি বলেন, ‘‘আগে থেকে টিকিট কাটা ছিল তাই চলে গেছিলাম। কিন্তু আজ জনতা কার্ফু হবে জানতাম না। এখন দেখি এখান থেকে কিভাবে বাড়ি ফিরতে পারি।’’ মালদহ যাবেন বলে দিন সকালবেলা শিয়ালদহ স্টেশনে এসেছিলেন অসীম মন্ডল। কিন্তু সকাল বেলা তো মালদহ যাওয়ার ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি। এদিকে অন্য কোনও যানবাহন না পেয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন অসীমবাবু।
Soujan Mondal