তবে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গুলি বন্ধ থাকবে না চালু থাকবে সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপরেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান " কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কবে থেকে খুলবে তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সিদ্ধান্ত নেবে।সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যদি মনে করে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে তা তারা করতে পারেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেভাবে পরীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে সেই পরীক্ষাগুলি হবে।" তবে সরকারের তরফে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশ না এলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিভাবে আবার খুলবে তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অধ্যাপক সংগঠনগুলি।
advertisement
গত বুধবার বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যের আটটি জেলার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে কয়েক শ কোটি টাকার ক্ষতির হিসেব তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন "রাজ্যের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ৭০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই হিসেব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে পাঠানো হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে।"
এদিকে দীর্ঘদিন স্কুল গুলি বন্ধ থাকার জেরে কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন হবে তা নিয়েও রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন " আমরা চেষ্টা করছি যাতে শিক্ষকরা একটি টিম করে তাদেরই কাছাকাছি পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতে সহযোগিতা করে। এ বিষয়ে জেলা পরিদর্শকদের বলা হচ্ছে যাতে তারা শিক্ষকদের টিম করে করে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বুঝিয়ে আসেন।" এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান,কলকাতা, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমফানের তাণ্ডবে।
Somraj Bandopadhyay