তবে এবার নিজেদের তৈরি সেই ভ্যাকসিন নিয়েই অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হল পুতিন সরকারকে। তৃতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়ার সরকার ঘোষণা করেছিল, চিকিৎসক, শিক্ষক সহ যাঁরা সামনে থেকে করোনার মোকাবিলা করছেন, তাঁদেরকেই প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু এবার রাশিয়ার সেই করোনা যোদ্ধাদের একাংশই নিজেদের দেশের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। এই করোনা যোদ্ধারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রায়াল পর্ব পুরোপুরিশেষ হওয়ার আগে ভ্যাকসিন নেবেন না তাঁরা। সরকারের গিনিপিগ হতে চান না এই করোনা যোদ্ধারা!
advertisement
দীর্ঘ প্রায় ছ'মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ার স্কুলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু শিক্ষকদের প্রতিদিন কয়েকশো পড়ুয়ার সংস্পর্শে আস্তে হবে, তাই প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য শিক্ষকদেরই বাছা হয়। যদিও এই প্রস্তাব পাওয়ার পর হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষকই ভ্যাকসিন নিতে রাজি হয়েছেন বলে খবর। কারণ ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর এবং নিরাপদ, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে শিক্ষকদের। এমন কি, ভ্যাকসিন না নেওয়ার জন্য রাশিয়ার শিক্ষকদের সংগঠন অনলাইনে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে এখনও ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কোনো শিক্ষককে জোর করে হয়নি বলেই খবর। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে শিক্ষকদের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।